অনলাইন ডেস্ক : নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় এক ভণ্ড কবিরাজের বিরুদ্ধে ঝাড়-ফুঁকের অজুহাতে এক গৃহবধুকে (২৯) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার বিকেলের এ ঘটনায় রাতেই ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মহাদেবপুর থানায় মামলা করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে নির্যাতনের শিকার নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে নওগাঁ সদর হাসপাতালে। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত আইজুল হক মুফতী (৫০)।
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। সকালে নওগাঁ সদর হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পলাতক কবিরাজকে ধরার চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, গত পাঁচ বছর ধরে একটি বাড়িতে জিন-ভূত তাড়ানোর কথা বলে লোকজনকে ঝাড়-ফুঁক দিতেন আইজুল। সোমবার জিন ও ভূত তাড়ানোর কথা বলে গোপনে ঝাড়-ফুঁক দেওয়া হবে বলে বাড়ির ভেতরে ওই গৃহবধূকে নিয়ে ধর্ষণ করেন তিনি।
ওই গৃহবধূ তার স্বামীকে ঘটনাটি জানালে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় উত্তেজিত লোকজন কবিরাজের বাড়ি ঘেরাও করে রাখেন। কিন্তু কবিরাজ কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওই গৃহবধুর স্বামী বলেন, তার স্ত্রী বেশ কিছু দিন ধরে অস্বাভাবিক আচরণ করছিল। বিভিন্ন চিকিৎসা করেও সুস্থ না হওয়ায় স্থানীয় লোকজনের পরামর্শে সোমবার বিকেল ৫টার দিকে কবিরাজ আইজুল মুফতীর বাড়িতে তার স্ত্রীকে নিয়ে যান তিনি। কবিরাজকে সমস্যার কথা বললে তার স্ত্রীকে জিনে ধরেছে বলে তিনি জানান।
তিনি জানান, জিন তাড়াতে নির্জনে ঝাড়-ফুঁক দিতে হবে বলে কবিরাজ তাকে বাড়ির বাইরে বসতে বলে তার স্ত্রীকে বাড়ির ভিতরে ডেকে নেন। কবিরাজের বাড়ি থেকে বের হয়ে স্ত্রীকে আরও অস্বাভাবিক ও অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পান তিনি। তার স্ত্রী তাকে জানান, কবিরাজ তাকে ধর্ষণ করেছেন।