চট্টগ্রামে পুলিশ বক্সে বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে ঢাকার হামলার মিল আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত কমিশনার শ্যামল নাথ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ” বিস্ফোরণের ঘটনাটি নিয়ে এখন তদন্ত চলছে। ঢাকায় পুলিশের ওপর হামলার সঙ্গে এই বিস্ফোরণের কোন মিল আছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেয়া হচ্ছে।”
ঢাকা থেকে কয়েকটি দল চট্টগ্রামে বিস্ফোরণ স্থানে গিয়ে কাজ করতে শুরু করে। এই টিমে সিআইডি, পিবিআই, অ্যান্টি-টেরোরিজম বিভাগের সদস্যরা রয়েছেন।
তিনি বলছেন, ”পুলিশ বক্সে একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সেটা নাশকতা হলেও হতে পারে। সেই সন্দেহে আমরা নগরীর অন্যান্য পুলিশ বক্সসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করেছি। তবে বিস্ফোরণটি কীভাবে হয়েছে, সেটা তদন্তের আগে বলা যাবে না।”
শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের ষোলশহর দুই নম্বর গেট মোড়ে পুলিশ বক্সে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। একে বিস্ফোরণ বলে বর্ণনা করলেও হামলা কিনা, তা পরিষ্কার করেনি পুলিশ। কেউ এই ঘটনায় দায় স্বীকার করেনি।
এতে দুই পুলিশসহ মোট পাঁচজন আহত হন, যাদের মধ্যে ১০ বছরের একটি শিশুও রয়েছে।
তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের এখনো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিস্ফোরণে পুলিশ বক্সটির ছাদের একটি অংশ উড়ে যায় এবং চারপাশের কাঁচ ভেঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশের ওপর বোমা হামলায় ‘আইএসের’ দায় স্বীকার
পুলিশ কেন ‘আইএস’ হামলার লক্ষ্যবস্তু?
পুলিশের ওপর ককটেল হামলার দায় স্বীকার ‘আইএসের’
‘টাকার সঙ্কট, তাই পুলিশের ওপর হামলা’
ঘটনার পরপর নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ” প্রথমে আমরা মনে করেছিলাম বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে মনে হচ্ছে বিস্ফোরণ। পুলিশ বক্সের ভেতরে কে বা কারা রেখে গিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে, ছুড়ে মারা হয়নি।”
” ঢাকার পুলিশ বক্সে হামলার ঘটনার সঙ্গে এটির মিল আছে কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
এর আগে ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বক্স ও গাড়িতে পাঁচটি বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।
সেসব হামলার দায় স্বীকার করেছিল আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট গ্রুপ। তবে পুলিশ জানিয়েছিল, সেসব হামলার পেছনে দেশি জঙ্গি গোষ্ঠী নব্য জেএমবি জড়িত।
তবে চট্টগ্রামের বিস্ফোরণের ঘটনায় কেউ দায় স্বীকার করেনি।
শরণার্থী ও অভিবাসীদের ইউরোপের দিকে পাঠিয়ে দিচ্ছে তুরস্ক
দিল্লিতে মুসলমান নারীদের বর্ণনায় ককটেল আর আগুনের ভয়াবহতা
বিবিসি জরিপে শ্রেষ্ঠ বাঙালি: ১৮নম্বরে অতীশ দীপঙ্কর
দিল্লির দাঙ্গার মূলে কি নাগরিকত্ব আইন, নাকি সাম্প্রদায়িক হিংসা?