বৃহস্পতিবার দুপুরে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দের’ ব্যানারে শতাধিক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ভাস্কর্য়ের পাদদেশে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী দেওয়ান তাহমিদ এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের বন-পাহাড় উজাড় করে নির্বিচারে কাটা হচ্ছে গাছ। কাটার পর এসব গাছ রাখা ও পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে। বৃক্ষ নিধনে প্রকৃতির উপর নির্মম প্রতিশোধ কখনোই মেনে নেয়া যায় না। প্রকৃতির পরম বন্ধু বৃক্ষ নিধন কখনোই সচেতন মানুষ মেনে নিতে পারে না। যারাই এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
মানববন্ধন শেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের এই মহাযজ্ঞর অবসান ও অবৈধভাবে গাছকেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর দিয়ে পরিবহনের সঙ্গে জড়িত সবার শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি জীববৈচিত্র রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ৭ দফা দাবি পেশ ছাড়াও উপাচার্য বরাবর স্বারকলিপি দেয় শিক্ষার্থীরা।
জীববৈচিত্র রক্ষায় ৭ দফা দাবি হলো:
সৌন্দর্য বর্ধন, রাস্তা সম্প্রসারণ ইত্যাদির অজুহাতে ক্যাম্পাস এরিয়ার কোনো স্থানে প্রশাসন বা অন্য যেকোনো উদ্যোগে কোনো গাছ কাটা যাবে না।
গাছ কেটে ক্যাম্পাসে রাখা ও ক্যাম্পাসের উপর দিয়ে গাছ পরিবহনের অনুমতি দেয়া যাবে না। এটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
গাছকাটা প্রতিরোধ ও পরিবেশ রক্ষায় অবিলম্বে আরেকটি কমিটি করতে হবে এবং তা কার্যকর রাখতে হবে।
ক্যাম্পাস এরিয়ার বাইরের বন-পাহাড়ে গাছাকাটা প্রতিরোধ ও জীববৈচিত্র রক্ষা করতে বনবিভাগ ও পরিবেশ অধিদফতরের সঙ্গে সমন্বয় করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
আগামী এক বছরের মধ্যে ক্যাম্পাসের সমস্ত বিলুপ্তপ্রায় এবং বিপন্ন প্রজাতির উদ্ভিদের তালিকা করতে হবে। এ ছাড়া বিপন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ সংরক্ষণে পদক্ষেপ নিতে হবে।
মাটি, পানি, বাতাস তথা বনজ এলাকার পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় কাঠের উদ্দেশ্যে কিংবা বিভিন্ন ধরনের বিদেশি সংস্থার ফান্ডিংয়ে ইউক্যালিপটাস, আকাশমণি, মেহগনিসহ কোনো প্রকারের বিদেশি প্রজাতির বনায়ন করা যাবে না।
অবৈধভাবে গাছকাটা ও তা পরিবহনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। ভবিষ্যতেও কেউ গাছকাটা ও পরিবহনের সঙ্গে জড়িত হলে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।