অনলাইন ডেস্ক : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ছাত্রীদের বোরকা পরা নিয়ে কটুক্তি করায় সালিশি বৈঠকে এক প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার বিষমডাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
তাড়াশ ইউএনও ও বিষমডাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এসএম ফেরদৌস ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খগেন্দ্র নাথ মাহাতো গত শনিবার বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের বোরকা পরা নিয়ে কটুক্তি করেন এবং বিদ্যালয়ে বোরকা পরে আসা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের ছাত্রী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদে ওই দিনই আসরের নামাজের পর মুসল্লিরা স্থানীয় নিমগাছী বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। তারা প্রধান শিক্ষককের অপসারণ ও শাস্তির দাবি জানান। পরে এ বিষয়ে বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি তখনকার মত শান্ত হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য গাজী ম.ম আমজাদ হোসেন মিলনের উপস্থিতিতে বিদ্যালয়ের হল রুমে সালিশি বৈঠক হয়।
তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফকির জাকির হোসেন জানান, ওই সালিশে প্রধান শিক্ষক ছাত্রীদের বোরকা পড়া নিয়ে কটুক্তি করায় নিঃশর্ত ক্ষমা চান। পরে সালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক খগেন্দ্রনাথ মাহাতোকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সেই সাথে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক চঞ্চল কুমার মাহাতোকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়।
বৈঠকে উল্লাপাড়া সাকের্লের সিনিয়র এএসপি মো. সরাফত ইসলাম, তাড়াশ থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান, রায়গঞ্জ থানা ওসি (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম, সোনাখাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. মোস্তাফা কামাল রিপন, দেশীগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুসসহ অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যসহ এলাকার শতাধিক গণ্যমান্য ব্যাক্তি উপস্থিত ছিলেন বলেও জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য গাজী ম.ম আমজাদ হোসেন মিলন বলেন, বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের বোরকা পরা নিয়ে প্রধান শিক্ষক কটুক্তি করায় এবং বিদ্যালয়ে বোরকা পরে আসা নিষিদ্ধ ঘোষণার কারণে এলাকায় ক্ষোভ দেখা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সালিশের মাধ্যমে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করা হয়েছে।