এরা সবাই নারী। ভিন্ন পেশা ও চিন্তাধারার এই মানুষগুলো একসঙ্গে ক্যানভাসে এঁকেছেন শুধুই নারীর জীবনকাহন। কেউ তুলির আঁচরে আবার কেউ পারফরমিং আর্টে।
কেউ এঁকেছেন নারীর সুখ-দুঃখ্য, এঁকেছেন রং। কেউ আবার তুলির আঁচরে গল্প এঁকেছেন নারীর এগিয়ে যাওয়ার। কবিতার সেই ‘নিলাঞ্জনা’র গল্প বলেছেন রঙের কোলাজে। জীবনের বাঁকে বাঁকে একজন নারীর উত্থান পতনের যে ছন্দ তাই এঁকেছেন ক্যানভাস জুড়ে।
৭ মার্চ থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত ৮ দিনব্যাপী ‘ওরা ১১ জন’ শিরোনামে এই প্রদর্শনী শুরু হবে ঢাকা গ্যালারিতে। বিশ্ব নারী দিবসকে সামনে রেখে এই আয়োজন করেছেন ‘বাংলাদেশ আর্ট উইক’। একসঙ্গে ১১ নারীর পারফরমিং আর্টের এতো বড় আয়োজন এর আগে আমাদের দেশে হয়নি কখনো।
বাংলাদেশ আর্ট উইক’র কো-ফাউন্ডার, পিএইচপি ফ্যামেলির ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোহসিন জানান, দুই মাস আগে অনলাইনে আবেদন পত্র গ্রহণ করা শুরু হয়। এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করতে ২৫ জন শিল্পী আবেদন করেন। তবে জুড়ি বোর্ডের সদস্য শিল্পী রফিকুন নবী ও শিশির ভদ্র বাছাই করেন ১১ জনকে প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচিত করেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আর্ট উইক এতে যারা অংশগ্রহণ করেছেন তাদের নিয়ে ভবিষ্যতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করবে বাংলাদেশ আর্ট উইক। একজন নারীর জীবনের গল্প রং তুলির আচরে ক্যানভাসে একেছেন ১১ জন চিত্রশিল্পী। সৃজনশীল এমন চিত্রকর্ম নিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো এই আয়োজন বলেও জানান তিনি।
মোহাম্মদ মোহসিন আরো বলেন, বাংলাদেশ আর্ট উইকের ফাউন্ডার নেহারিকা মমতাজ। মূলত তার পরিকল্পনাতেই দেশি এ গুণী শিল্পীদের শিল্প বিশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ আর্ট উইক।
প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া নারীরা হলেন, আইভি জামান,দিলরুবা বেগম জলি, রোকেয়া সুলতানা, কনক চাকমা, প্রেমা নাজিয়া আন্দালিব, আয়েসা সুলতানা, তাসনিম তারিক, সালমা আবেদিন পৃথি, ফারজানা হক, রুমানা আহমেদ এবং চিত্রশিল্পে একুশে পদক পাওয়া শিল্পী ফরিদা জামান।