পৌরসভার প্যানেল মেয়র ইউসুফ বলেন, আজও বিষয়টির সমাধান না হওয়া দুঃখজনক
শারীরিকভাবে সুস্থ-স্বাভাবিক নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার কৃষক আবদুস সামাদ। স্বাভাবিক কাজকর্ম করে জীবিকা চালাচ্ছেন তিনি। তবে বাস্তব জীবনে সামাদ জীবিত হলেও সরকারি খাতায় মৃত! ভোটার তালিকায় মৃত দেখানোর কারণে নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে তাকে।
সর্বশেষ গত শুক্রবার (৭ মার্চ) বাগাতিপাড়া পৌরসভার লক্ষণহাটি গ্রামে সামাদের এলাকায় স্মার্টকার্ড পেয়েছেন অনেকে। তবে দীর্ঘক্ষণ লাইনে অপেক্ষা করার পরও পরিচয়পত্র পাননি তিনি।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আবদুস সামাদ জানান, ২০০৮ সালে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র পান। পরে ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাচনে ভোট দিতে গেলে তিনি জানাতে পারেন কাগজপত্রে তিনি মৃত হিসেবে লিপিবদ্ধ আছেন। এ কারণে সে সময় ভোট দিতে পারেননি।
সামাদ আরও জানান, উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও সরকারি ওই তালিকায় তিনি নিজেকে জীবিত হিসেবে নাম তোলাতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে আবেদন করেছেন তিনি। সেখান থেকে তাকে বলা হয়েছে, শিগগিরই তিনি সংশোধিত তালিকায় নাম দেখতে পাবেন।
আবদুস সামাদের ছেলে ফজলুর রহমান বলেন, সচেতন নাগরিক হিসেবে গত দুটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি তার বাবা। এলাকার অনেক লোক স্মার্টকার্ড পেলেও আবদুস সামাদ পাননি।
বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে বাগাতিপাড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ইউসুফ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সামাদ তার ওয়ার্ডের ভোটার। প্রায় এক বছর আগে বিষয়টি জানার পর বহুভাবে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আজও বিষয়টির সমাধান না হওয়া দুঃখজনক।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, প্রায় তিন মাস আগে আবদুস সামাদের লিখিত আবেদন পাওয়ার পর তিনি ঢাকায় পাঠিয়েছেন। ঢাকা থেকে সংশোধন হয়ে আসলে তিনি সামাদকে নিশ্চিত করতে পারবেন।