অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ডাকঘর সঞ্চয়ে সুদহার আগের মতোই অপরিবর্তিত থাকছে। অটোমেশন সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী ১৭ মার্চ থেকে এর সুদহার আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। এ ছাড়া প্রান্তিক সঞ্চয়কারীদের জন্য এটি ক্রয়ে কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ডাকঘর সঞ্চয় স্কিম কিনলে কোনো টিআইএন (কর শনাক্তকরণ নম্বর) লাগবে না।
বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে ক্রয় ও অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। ব্যাংক কমিশন গঠনের জন্য সরকার আরও কিছু সময় চায় জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক কমিশন অবশ্যই করব, তবে সময় লাগবে।
অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অনিয়ম ও অপব্যবহার রোধে সব ধরনের সঞ্চয়পত্র বেচাকেনায় অটোমেশন সম্পন্ন হলেও ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমে সেটি অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। ব্যবস্থাপনায় সংস্কারের ফলে এখন কেউ সীমার বাইরে সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন না। কিন্তু ডাকঘর সঞ্চয়ে সীমার বাইরেও কেনার সুযোগ থাকায় সঞ্চয়কারীরা এ দিকেই ছুটছেন। ফলে সম্প্রতি ডাকঘর সঞ্চয় বিক্রি অনেক বেড়ে গেছে। এটি ঠেকাতে ব্যাংকের আমানতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সুদহার কমানো হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমকে অনলাইনের আওতায় আনা হয়েছে। কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এটি পুরোপুরি সম্পন্ন হলে তখন আর অন্য সঞ্চয়পত্রের মতো ডাকঘর সঞ্চয় নির্দিষ্ট সীমার বাইরে কেউ কিনতে পারবেন না।
বুধবার সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন দেখলাম সবাই চলে যাচ্ছে পোস্ট অফিসে, সেটা বন্ধ করব কীভাবে? বন্ধ করতে হলে আগের রেটে চলে যেতে হবে। ১৭ মার্চ অটোমেশন শেষ হলে আগের সুদের হারে চলে যাব।
বর্তমানে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক, পরিবার ও পেনশনার- এই চার ধরনের জাতীয় সঞ্চয় স্কিম রয়েছে। আর ডাকঘরের নিজস্ব সঞ্চয় স্কিমের নাম ‘ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক’, যা সরকারের জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের বাইরে। যদিও এসব স্কিমের ধরন প্রায় একই রকম।