দর্পণ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে তিস্তা চুক্তি দ্রুত সম্পাদনের বিষয়টি জোরালোভাবে উপস্থাপন করেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ভারতের পক্ষ থেকে ফেনী নদীর পানিবণ্টন সংক্রান্ত চুক্তি দ্রুত করার অনুরোধ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর উপলক্ষে বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঘোষিত দুই দেশের যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। চার দিনের ভারত সফরে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিল্লি পৌঁছান শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। এ সময় দুই দেশের মধ্যে সাতটি সমঝোতা চুক্তি হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারতের ফেনী নদীর অনুরোধ বাংলাদেশ বিবেচনায় নিয়েছে। তবে তিস্তার ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই।
গত মাসে যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, কুশিয়ারা নদীর পানি উত্তোলনের জন্য সমঝোতা স্মারক সই করার বিষয়টিকে দুই নেতা স্বাগত জানান। এর ফলে বাংলাদেশ সেচ সুবিধা পাবে এবং দক্ষিণ আসামে পানি প্রকল্পগুলোকে সহায়তা দেবে।
পানি ব্যবস্থাপনার ব্যাপ্তি বাড়াতে যৌথ নদী কমিশনের সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেন দুই নেতা। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আরও নদীর তথ্য-উপাত্ত এক দেশ অপর দেশকে পর্যালোচনা করার জন্য দেবে এবং অন্তর্বর্তীকালীন পানি চুক্তির খসড়ার কাঠামো তৈরি করবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারত সাতটি নদীর পানিবণ্টন নিয়ে বর্তমানে কাজ করছে। যৌথ নদী কমিশন নতুন আরও আটটি নদী এর সঙ্গে যুক্ত করেছে।
গঙ্গা নদীর পানির সর্বোচ্চ ব্যবহারের জন্য যৌথ কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং এটিকে স্বাগত জানিয়েছেন উভয় নেতা।

News Editor : Ganash Chanro Howlader. Office: 38-42/2 Distillery Road, 1st floor, Gandaria, Dhaka-1204.