অনলাইন ডেস্ক : স্বামীর শরীর খারাপ। পেটের রোগের দীর্ঘদিন ভুগছিলেন তিনি। ওষুধ খেয়েও কোনও সমাধান মেলেনি। চরম মানসিক অশান্তির মাঝেই বোধহয় তাকে তান্ত্রিকের ঠিকানা দিয়েছিলেন কেউ। তান্ত্রিক বলেছিলেন ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে তার স্বামীকে সুস্থ করে দেবেন।
এরপর ৫০ শতাংশ টাকা তান্ত্রিককে দিয়েও দিয়েছিলেন সেই গৃহবধূ। স্বামী কিছুটা সুস্থ হয়ে বিদেশেও যান। কিন্তু বাকি থেকে যায় ২০ হাজার টাকা। আর সেই টাকার জন্য তান্ত্রিকের ক্রমাগত চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের প্রসাদ পুরগ্রামের বছর ২৩ এর মায়া দাস।
জানা যায়, পাঁচ বছর আগে বিষ্ণুপুরের জুলপিয়া আন্ধারমানিকের মায়ার সঙ্গে বিয়ে হয় সুখেন দাসের। কয়েক মাস ধরে সুখেন পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন। চিকিৎসক দেখিয়েই লাভ না হওয়ায় তান্ত্রিক বিজয় বাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তারা। বিজয় ওরফে নাড়ু তাদের কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন।
স্বামীকে সুস্থ করতে ২০ হাজার টাকা ধার করে বিজয়কে দেন মায়া। পরিবারের দাবি, সুখেন সুস্থ হন কিছুটা। এরপর তিনি দুবাইয়ে চলে যান। কিন্তু বকেয়া ২০ হাজার টাকার জন্য মায়াকে ক্রমাগত চাপ দিতে থাকেন বিজয়।
মৃত মায়া দাসের মায়ের দাবি, বিজয় মায়া ভয় দেখাতে থাকেন, বাকি টাকা না দিলে পরিবারের ক্ষতি করে দেবেন তিনি। মানসিক চাপ সহ্য করতে পারেননি মায়া। কিন্তু তিনি যে এই পথ বেছে নেবেন, তা আঁচও করতে পারেনি তার পরিবার।
শুক্রবার সকালে গলায় ফাঁস লাদিয়ে আত্মঘাতী হন মায়া। পুলিশ গিয়ে মায়ার দেহ উদ্ধার করে। পরিবারের অভিযোগ, বিজয়ের চাপে মানসিক অশান্তিতেই আত্মঘাতী হয়েছেন মায়া। বিষ্ণুপুর থানায় বিজয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্তে নেমেছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ।