তামিমের কাছে পাওয়ারপ্লেতে দুটি চার বেশি চেয়েছিলেন ব্যাটিং কোচ ম্যাকেঞ্জি। তামিম সাজালেন চারের পসরা। দশটি চার মেরে করলেন ফিফটি। পরে আবার উচ্ছ্বলতা থামালেন নিজের ব্যাটিংয়ের। চারটি চার যোগ করে পূর্ণ করলেন সেঞ্চুরি।

এরপরই দর্শকদের বিনোদন দিতে শুরু করেন দেশসেরা ওপেনার। ক্যারিয়ার ও দেশ সেরা ইনিংসে পৌঁছাতে মারলেন আরও ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কা। তার ১৩৬ বলে ২০ চার ও তিন ছক্কায় গড়া ১৫৮ রানে ভর করে ৮ উইকেটে ৩২২ রান তুলল বাংলাদেশ। এর আগে তামিমের সেরা ইনিংস ছিল এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৫৪।

তামিম এক বছর সাত মাস আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন। এরপরই যেন বিবর্ণ তিনি। তার ব্যাটিংয়ে রান খরা, ধরণ নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে তামিমের কাঁধে আবার চাপল নাজমুল শান্তদের রান আউটের দায়। একটা বড় ইনিংস তাই খেলতেই হতো তামিমের।

নিঁখুত সব শট খেলে সেটাই করে দেখালেন তামিম। তুলে নিলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি। সঙ্গে দেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাত হাজার রানও করেছেন তিনি। তার সঙ্গে টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান লিটন দাস (৯ রান) ও নাজমুল শান্ত (৬ রান) রান আউট হওয়ার সঙ্গ দিতে পারেননি।

তবে মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা তামিমকে দিলেন দারুণ সঙ্গ। মুশফিকুর রহিম ৫০ বলে খেলেন ৫৫ রানের ইনিংস। তামিমের সঙ্গে যোগ করেন ৮৭ রান। এরপর মাহমুদুল্লাহ তোলেন ৫৭ বলে ৪১ রান। তার ইনিংসটা ধীর হলেও তামিমের সঙ্গে ১০৬ রানের জুটি গড়েন। তাদের ব্যাটিংয়ে প্রথমবার সাড়ে তিনশ’পাওয়া সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের।

কিন্তু শেষটায় মেহেদি মিরাজ-মাশরাফিরা দ্রুত আউট হওয়ায় তা থেকে বেশ দূরেই থামল বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে ফিফটি করা মিঠুন এ ম্যাচে শেষ পর্যন্ত খেলে করেন ১৮ বলে ৩২ রান। জিম্বাবুয়ের হয়ে চার্লস মুম্বা ও ডোনাল্ড ট্রিপানো নেন ২টি করে উইকেট। বাংলাদেশ এ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ ৩২২ রান করেছে। এর আগের ম্যাচে করা ৩২১ রানের রেকর্ডটা ভেঙেছে তারা।