শাহাদাত হোসেন রাজীব, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলার। জন্ম ১৯৮৬ সালের ৭ আগষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেলায়। ২০০৫ সালের ২৬ মে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেষ্ট ক্রিকেটে তার আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়। সাদা পোষাকে তিনি ৩৫ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করলেও ২০১৩ সালের পর আর কোন টেষ্ট খেলা হয়নি। ৩৫ ম্যাচে ৭০ উইকেট শিকার করতে পেরেছিলেন তিনি। রাজীবের ওয়ানডে অভিষেক হয় ২০০৬ সালে, কেনিয়ার বিপক্ষে। ৫১ ওয়ানডে থেকে ৪৭ উইকেট শিকার করেন তিনি। ২০১৩ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচটি তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ হয়ে আছে।
শাহাদাত হোসেন রাজিব, জাতীয় দলের অন্যতম পেস বোলার। আসছে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে টাইগারদের সফলতা, সম্ভাবনা নিয়ে আমাদের জানিয়েছেন তার নিজস্ব অভিমত।
তার সেই অভিমতের পুরোটাই তুলে ধরা হলো ডেইলি বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য।
শাহাদাত হোসেনের বিশ্বকাপ ভাবনা
অন্য যে কোনো বারের চেয়ে এবারের বিশ্বকাপটা আমার কাছে অন্যরকম, একটু এক্সপেক্টিং। দেখতে দেখতে মাস পেরিয়ে এখন দিনের গণনা।
সত্যি বলছি, বাংলাদেশ টিম নিয়ে আমি দারুণ রোমাঞ্চিত। ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে মাশরাফী, রিয়াদ, সাকিব, মুশফিক, তামিম ছাড়া বাকি সবাই তরুণ।
দলের এই পঞ্চপাণ্ডব তো অভিজ্ঞতার ঝলক দেখায় বরাবরই, তবে এবার তরুণদেরও সুযোগ থাকছে বিশেষ কিছু করার।
সৌম্য, লিটন এর যে কেউ হতে পারে তামিমের সঙ্গী। ফর্মে থাকা এ দুজনের যেই আসুক একাদশে তাকে খেলতে হবে ঝরো কিন্তু লম্বা ইনিংস।
মিরাজের কাজ হলো ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে হিসেবি মনোভাব দেখানো, আই মিন রান খড়ায় রাখা। এতে করে উইকেট বিলিয়ে দিতে বাধ্য হবে প্রতিপক্ষ।
আমার হিসেবে কোনো কোনো ম্যাচে মিরাজের পরিবর্তে দেখা যেতে পারে সৈকতকেও।
মিথুন আর সাব্বিরের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা হলেও হতে পারে, তবে যেই খেলুক, দুজনই আছে ছন্দে। মুস্তাফিজতো স্লগ ওভারের সুপার ডায়নামাইট।
রুবেলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র ২০১৫ বিশ্বকাপের পারফর্মেন্স। ইদানিং ওর বাটারফ্লাইটাও ব্যাটসম্যানের কাছে ধোয়াসা।
সাইফউদ্দিন খেলবে পেস বোলার অলরাউন্ডার হিসেবে। তাকে সাহস জোগাতে পারে জিম্বাবুয়ে সিরিজ এবং ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পারফর্মেন্স।
সব মিলিয়ে এবারের তারুণ্য নির্ভর দারুণ ছন্দময় একটা টিম বাংলাদেশ।
যদি সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে সেরাটা দিতে পারে, তবে হতে পারে এটাই আমাদের সেরা বিশ্বকাপ। তারুণ্যের হাত ধরে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ!
ডেইলি বাংলাদেশ/সালি