সাইফুল্লাহ নাসির, বরগুনা প্রতিনিধিঃ বরগুনার তালতলী উপজেলার কলারং গ্রামের সৎ মা লাইলি বেগমকে (৫৫) পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে ছেলে জাকির হাওলাদার ও তার সহযোগীরা।স্থানীয়রা সঙ্গাহীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার কলারং গ্রামের আবদুস ছত্তার হাওলাদার ৩২ বছর পূর্বে লাইলি বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।গত ১০ বছর পূর্বে লাইলি বেগম তার বাবার বাড়ীর জমি বিক্রি করে ছত্তার হাওলাদারের সংসারে খরচ করে।ওই সময় এ টাকার পরিবর্তে লাইলিকে ১৫ শতাংশ জমি দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছত্তার হাওলাদার ওই জমি তাকে দেয়নি।এ বছর আগষ্ট মাসে ছত্তার হাওলাদার গোপনে তার বড় স্ত্রীর মেয়ে শাহিদাকে এক একর ২৮ শতাংশ জমি দলিল করে দেয়।শুক্রবার দুপুরে সৎ ছেলে জাকির হাওলাদার তার স্ত্রী সাবিনা বেগম ও বোন শাহিদা বেগমের সাথে জমি নিয়ে সৎ মা লাইলি বেগমের কথা কাটাকাটি হয়।এক পর্যায় জাকির হাওলাদার, তার স্ত্রী সাবিনা বেগম ও বোন শাহিদা সৎমা লাইলিকে বেধড়ক মারধর করে রক্তক্ত জখম করে।মারধরে মা লাইলি বেগম জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে চিকিৎসা না করিয়ে ঘরের মধ্যে আটকে রাখে।স্থানীয় লোকজন সঙ্গাহীন অবস্থায় ওইদিন সন্ধ্যায় উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

শুক্রবার রাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে,লাইলি বেগমের মাথায় ব্যন্ডেজ।শরীরের বিষম যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আলহাজ মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন,লাইলি বেগমের মাথা ফাটা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা ও জখমের চিহৃ রয়েছে।
আহত লাইলি বেগম জানান,মোর ব্যাডায় হের বড় মাইয়্যারে জমি ল্যাইখ্যা দেছে। মুই বাহের বাড়ী গোনে জমি ব্যইচ্চা আনছি হেই জমি দেয়ার কতা।মি না দিয়া হ্যার মাইয়্যারে সব জমি ল্যাইখ্যা দেছে। এ্যাহন মোরো ঘর গোনে নামাইয়্যা দেতে চায়।মুই ঘরে গোনো নামতে চাইনা হ্যাইতে মোরে মাইর‌্যা মাথা ফাডাইয়্যা দেছে।মুই এইয়্যার বিচার চাই”।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ রুস্তম আলী জানান,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাইলিকে অজ্ঞান অবস্থায় পরে থাকতে দেখি।পরে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

সৎ ছেলে জাকির হাওলাদার মুঠোফোনে মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন,আমার স্ত্রীর সাথে ঝগড়ার কারনে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।

তালতলী থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় বলেন,এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।