দর্পণ ডেস্ক : উপমহাদেশে প্রথম দিবারাত্রির টেস্ট। গোলাপি বলে অভিষেকের ম্যাচটিকে স্মরণীয় করে রাখতে নানা আয়োজন ছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই)। সেই আয়োজনের অংশ ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। অথচ এই টেস্টে বাংলাদেশ দল দাঁড়াতেই পারল না।

ঐতিহাসিক টেস্টটা যেহেতু দিবা-রাত্রির, গোলাপি বলে খেলা, তার মধ্যে আবার বাংলাদেশ-ভারত দুই দলেরই প্রথমবার এমন ম্যাচে মাঠে নামা। তাই এই টেস্টের প্রতি দর্শকদের আগ্রহ ছিল আকাশচুম্বী।
অথচ এই গোলাপি টেস্টের প্রতি দর্শকদের আকাশচুম্বী আগ্রহ থাকায় দেখতে না দেখতেই ইডেন টেস্টের পাঁচ দিনের সব টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের (সিএবি) তাই খুশির অন্ত ছিল না। সেই খুশি শেষ করে দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তাদের ব্যর্থতায় পাঁচ দিনের টেস্ট সোয়া দুই দিনেই শেষ হয়ে গেছে।

ইডেনে ঐতিহাসিক দিবা-রাত্রির টেস্টটি এক ইনিংস এবং ৪৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ, তৃতীয় দিনের সকাল সকালই। ফলে এই টেস্টের শেষ দুই দিনের টিকিট যারা কিনেছেন, বাধ্য হয়েই তাদের মূল্য ফেরত দিতে হচ্ছে আয়োজক সিএবিকে।

সিএবি এ বার মূলত অনলাইনে টিকিট বিক্রি করেছে। সেই দায়িত্ব যাদের ছিল, সেই ‘বুকমাইশো’ সংস্থা সিএবি-র অনুমতি নিয়ে চতুর্থ ও পঞ্চম দিনের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যারা টিকিট কেটেছিলেন, তাদের কাছে এই সংক্রান্ত মেসেজও পৌঁছে গেছে। পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে সেই মেসেজে। আর যারা অনলাইনে টিকিট কাটেননি, তাদেরও টাকা কিভাবে ফেরত দেয়া যায়, সেই ব্যাপারেও ভাবনাচিন্তা করছে সিএবি।

রবিবার অবশ্য সিএবির পক্ষ থেকে অন্য কথা জানানো হয়েছিল। কোষাধ্যক্ষ দেবাশিস গাঙ্গুলি বলেছিলেন, ‘টাকা ফেরত দেয়ার কোন ব্যাপার নেই। ম্যাচ একদিনে শেষ হলেও টাকা ফেরত দেয়া হতো না।’ ফলে আদৌ শেষ দুই দিনের টিকিটের টাকা দর্শকরা ফেরত পাবেন কিনা সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল।

কিন্তু পরে এই ধোঁয়াশা কাটিয়েছেন সচিব অভিষেক ডালমিয়া। তিনি বলেন, সিজন টিকিটের ক্ষেত্রে যদি একটা বলও খেলা হয়, তা হলে টাকা ফেরত দেয়া হয় না। কিন্তু আমরা এই টেস্টের মূলত ডেইলি টিকিট বিক্রি করেছি। এ ক্ষেত্রে নিয়ম হলাে কোনো নির্দিষ্ট দিন এক বলও খেলা না হলে সে দিনের টাকা ফেরত দিতে হবে।