দর্পণ ডেস্ক : স্টুয়ার্ট ব্রড ৮ বছর পর প্রথমবার কোন টেস্ট ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ পড়লেন । ঘরের মাঠে টানা ৫১ টেস্ট পর। লাল বলের ক্রিকেটে দারুণ ধারাবাহিক পারফর্ম করা ব্রডকে একাদশে বাইরে রাখার ‘সাহস’ পাননি নির্বাচকরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাউদাম্পটন টেস্টে ৩৪ বছর বয়সী এই পেসারকে একাদশে রাখা হয়নি। অথচ টেস্টে ইংল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৮৫ উইকেট শিকারি ব্রড। সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও নিয়েছেন ১৪ উইকেট। অ্যাশেজ সিরিজে ২৩ উইকেট নিয়ে ছিলেন দলের সেরা বোলার। শেষ দুই সিরিজে ভালো পারফর্ম করার পরও একাদশে জায়গা না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ব্রড, ‘আবেগী মানুষদের মধ্যে অবশ্য আমি পড়ি না।

তবে একাদশ থেকে বাদ পড়ার পর সময়টা আমার কঠিন যাচ্ছে। স্রেফ হতাশ বললে আসলে কমই বলা হবে; আমি হতাশ, ক্ষুব্ধ এবং বিধ্বস্ত। গত ২ বছর আমি সেরা পারফরমেন্স করেছি। অ্যাশেজে ভাল করেছি। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও।’

ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টেস্ট ইতিহাসের সফলতম পেসার জেমস অ্যান্ডারসনের সঙ্গে এই টেস্টের ইংল্যান্ড পেস আক্রমণে জায়গা পেয়েছেন গতিময় দুই বোলার জফ্রা আর্চার ও মার্ক উড। ব্রড মনে করেন তারা যোগ্য বলেই একাদশে রয়েছে, ‘যারা মাঠে নেমেছে তাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন নেই। ক্রিস ওকস, স্যাম কারানও একাদশে খেলার দাবি রাখে। ফাস্ট বোলিংয়ের এই গভীরতা ও শক্তি দেখতে পারাটা দারুণ। ইংলিশ ক্রিকেট আরও ভালো হয়ে ওঠার ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ এটিই।’