দর্পণ ডেস্ক : বিশ্বের অন্যতম দারিদ্র্যপীড়িত দেশ হিসেবে বহু বছর ভুগতে হয়েছে চীনকে। এই লজ্জার হাত থেকে বাঁচতে চরম দারিদ্র্য নির্মূল হয়ে উঠেছিল চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
তিনি ২০২০ সাল শেষ হওয়ার আগেই দেশ থেকে চরম দারিদ্র্য দূর করার শপথ করেছিলেন।
টানা পাঁচ বছর দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে অনন্য এক মাইলফলকে পৌঁছেছে চীন। চরম দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকার তালিকা থেকে নাম কাটা গেছে দেশটির সবগুলো কাউন্টির। অর্থাৎ চীনে এখন আর কেউ চরম দরিদ্র নেই।
আগামী জুলাইয়ে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে সামনে রেখে একটি ‘পরিমিত সমৃদ্ধ সমাজ’ গড়ার প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন জিনপিং।
সাধারণত বছরে যাদের আয় দুই হাজার ৩০০ ইউয়ান বা ৩৫০ মার্কিন ডলারের কম, তাদের চরম দরিদ্র হিসেবে বিবেচনা করে চীনা সরকার।
গত ৪০ বছরে কৃষিপ্রধান অর্থনীতি থেকে দ্রুত নগরায়নের পথে এগিয়েছে চীন। এর ফলে গ্রাম্য সম্প্রদায়ের সংখ্যা ক্রমেই কমে এসেছে, হারিয়েছে কাজের ক্ষেত্র। এ পরিস্থিতিতে জিনপিংয়ের দারিদ্র্য বিমোচন নীতিতে গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নে ব্যাপক গুরুত্ব দেয়া হয়। এর অংশ হিসেবে ২০১৪ সালে চীনের ৮৩২টি অনুন্নত কাউন্টি থেকে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণের কাজ শুরু করে বেইজিং।
গত সোমবার চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা শিনহুয়া ঘোষণা দিয়েছে, দারিদ্র্যপ্রবণ তালিকা থেকে দেশটির দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় গুইঝু প্রদেশের অবশিষ্ট নয়টি কাউন্টির নামও মুছে দেয়া হয়েছে। ফলে দেশটিতে চরম দারিদ্র্যের শিকার আর কোনও এলাকা থাকল না।