সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সহিংসতায় ভারতের দিল্লিতে প্রায় ৭০০ মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন।

দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে বুধবার এক অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা জানান বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, সংঘর্ষের পর দিল্লির পরিস্থিতি করুণ। চারদিকে মৃতদেহের স্তুপ। বহু মানুষ ঘরছাড়া। নালা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে। আমার এক সাংবাদিক বন্ধু আমাকে জানিয়েছে- এখনও পর্যন্ত ৭০০ মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।

দিল্লির সহিংসতা থেকে নজর ঘোরাতেই কয়েকজন মানুষ এবং কয়েকটি চ্যানেল করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মমতা বলেন, তাদের অহংকারটা ভাবুন। তারা বলছে গুলি করো…আমি তাদের জানাতে চাই, দিল্লি আর বাংলা এক নয়। বাংলাদেশের যে সমস্ত মানুষ ভারতে রয়েছেন, তাদের নিয়ে তার মন্তব্য সংবাদমাধ্যম ভুল ব্যখা করেছে বলেও এদিন দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

তিনি বলেন,  আমি কখনই বলিনি, যারা বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসেছেন, তারা সবাই এখানকার নাগরিক। দেশভাগের সময়, পাকিস্তান থেকে অনেকেই আমাদের দেশের পাঞ্জাব, গুজরাট, দিল্লি, বাংলায় এসেছেন, বাংলাদেশ বা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকেও অনেকে এসেছেন।

মমতা বলেন, শরণার্থী আসার পর, নেহেরু-লিয়াকত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, সেখানে পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা লোকজনদের নিয়ে চু্ক্তি হয়। আবার, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ইন্দিরা গান্ধি এবং শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে চু্ক্তি হয়, যাতে বাংলাদেশ থেকে এদেশে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়। আমি তাদের কথা বলেছিলাম।

তার দাবি, তিনি এদেশের নাগরিকদের কথা বলেছেন, এবং কেন তাদের, বিজেপি সরকারকে নাগরিককত্বের প্রমাণ্য নথি দেখাতে হবে, তা নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেন তিনি।