নিজ নামে দুটি গাড়ি বা সিটি করপোরেশন এলাকায় মোট ৮ হাজার বর্গফুট আয়তনের গৃহ-সম্পত্তির উপর ১০ শতাংশ হারে সারচার্জ বসানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে এই প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
মুহিত বলেন, “এ বছর সারচার্জের ক্ষেত্রে কিছুটা সংস্কার করে নীট পরিসম্পদের ভিত্তিতে সারচার্জ আরোপের পাশাপাশি যাদের নিজ নামে দুটি করে গাড়ি রয়েছে বা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মোট ৮ হাজার বর্গফুট আয়তনের গৃহ-সম্পত্তি রয়েছে তাদেরকেও সারচার্জের আওতায় আনার প্রস্তাব করছি।”
এছাড়া নীট পরিসম্পদের প্রদর্শিত মূল্যের ভিত্তিতে আরোপিত সারচার্জের বিদ্যমান হার বহাল রাখার প্রস্তাব করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, নীট পরিসম্পদের মূল্যমান ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা অতিক্রম করলে ন্যূনতম সারচার্জের পরিমাণ ৩ হাজার টাকা এবং ১০ কোটি টাকা অতিক্রম করলে ন্যূনতম সারচার্জের পরিমাণ ৫ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।
“সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুলসহ সকল প্রকার তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারী করদাতার উক্ত ব্যবসায় হতে অর্জিত আয়ের উপর বিদ্যমান ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে সারচার্জ বহাল থাকবে।”
সারণি ৩: ব্যক্তি করদাতার প্রদর্শিত সম্পদের ভিত্তিতে আরোপিত সারচার্জের হার
সম্পদ | সারচার্জের হার
(আয়করের শতকরা হারে) |
(১) নীট পরিসম্পদ ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত | শূন্য |
(২) (ক) নীট পরিসম্পদ ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার অধিক কিন্তু ৫ কোটি টাকার অধিক নয়, বা
(খ) করদাতার নিজ নামে দুইটি মোটরগাড়ির মালিকানা, বা (গ) কোন সিটি কর্পোরেশন এলাকায় করদাতার নামে ৮,০০০ বর্গফুট বা তার অধিক গৃহ-সম্পত্তির মালিকানা |
১০ শতাংশ |
নীট পরিসম্পদ ৫ কোটি টাকার অধিক, কিন্তু ১০ কোটি টাকার অধিক নয় | ১৫ শতাংশ |
নীট পরিসম্পদ ১০ কোটি টাকার অধিক, কিন্তু ১৫ কোটি টাকার অধিক নয় | ২০ শতাংশ |
নীট পরিসম্পদ ১৫ কোটি টাকার অধিক, কিন্তু ২০ কোটি টাকার অধিক নয় | ২৫ শতাংশ |
নীট পরিসম্পদ ২০ কোটি টাকার অধিক যে কোন অংকের জন্য | ৩০ শতাংশ |