রাজশাহীর শ্রীরামপুরে পদ্মানদীতে বিয়ের অনুষ্ঠানের দু’টি নৌকা ডুবির ঘটনায় এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে চারাঘাট উপজেলায় ওই নারীর ভেসে ওঠে। নিহতের নাম মনি (৩০)। তিনি কনের চাচি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানান, দুর্ঘটনার পর ২৬ জনের খোঁজ পাওয়া না গেলেও বর্তমানে ৭ জন নিখোঁজ রয়েছে। বাকিরা সাঁতরে কিংবা অন্য নৌকায় উঠাসহ বিভিন্নভাবে নদীর তীরে পৌঁছেছেন।

নিখোঁজরা হলেন- কনে সুইটি (২০), কনের ফুপাতো বোন রুবাইয়া (১২), কনের দুলাভাই রতন আলী (৩০), কনের চাচা শামীম (৩৮), চাচাতো বোন মদিনা (৮) , কনের খালা আঁখি ও খালাতো ভাই এখলাস।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার চরখিদিরপুর এলাকার মৃত ইনসার আলীর পুত্র আসাদুজ্জামান রুমন তার মামাতো বোন নগরীর কর্ণহার থানার ডাঙ্গেরহাটের শাহীনের কন্যা সুইটিকে বিয়ে করেন।

শুক্রবার রুমনের বাড়িতে বৌভাতের দাওয়াত খেয়ে চরখিদিরপুর থেকে ফিরনীর অনুষ্ঠানে জামাই রুমনসহ কনেপক্ষ ফিরছিলেন। ওই সময় দু’টি নৌকায় ৩৮জন যাত্রী ছিলেন। নৌকা দু’টি মাঝনদীতে আসতেই বাতাসের কবলে পড়ে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। এসময় বাতাস ও যাত্রীদের নাড়াচাড়ায় নৌকা দুটি ডুবে যায়। এ সময় কয়েকজন সাঁতার কেটে অন্য নৌকায় উঠতে পারলেও অধিকাংশই পানিতে তলিয়ে যায়। দুর্ঘটনার পরপরই মরিয়ম (৬) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। 

দুর্ঘটনার পর খবর পেয়ে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সাংসদ আয়েন উদ্দীন,  জেলা প্রশাসক হামিদুল হকসহ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। 

ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ,  বিজিবি সদস্যরা তাদের উদ্ধারের জন্য গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালায়। তবে রাতে বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হয়।