অ্যালার্জি, অ্যাজমা হয়তো নির্মূল করা সম্ভব হয় না। তবে সচেতন থাকলে ওষুধ ছাড়াই শুধু নিয়মতান্ত্রিকভাবে জীবনযাপনের মাধ্যমে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এসব রোগীকে চলাফেরা, ওঠাবসা, খাবার বিষয়ে সচেতন থাকতে হয়।

যেসব নিয়ম মেনে চলবেন 

কার্পেট ব্যবহার না করা। 

ধূমপান পরিহার করা। 

বাসায় কোনো প্রকার পোষা প্রাণী না রাখা। 

মশার কয়েল বা স্প্রে করার সময় নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করা। 

ধুলাবালি ও ঘর ঝাড়ু দেওয়ার সময় নাকে-মুখে মাস্ক, তোয়ালে বা গামছা ব্যবহার করা। 

পুরোনো বইপত্র অন্য কাউকে দিয়ে পরিস্কার করে নেওয়া। 

টিভি, মশারি স্ট্যান্ড, সিলিং ফ্যানের ওপর জমে থাকা ধুলাবালি সপ্তাহে অন্তত একবার পরিস্কার করা। 

বাস, মোটরগাড়ি বা যানবাহনের ধোঁয়া থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা। 

শীতের সময় শীতবস্ত্র ধুয়ে বা রোদে দিয়ে ব্যবহার শুরু করা। 

লেপ-কাঁথা ভালো করে রোদে শুকিয়ে ব্যবহার করা। 

উলেন কাপড়ের পরিবর্তে সুতি/জিন্সের কাপড় ব্যবহার করা। 

পুরোনো বাক্সবন্দি জামা-কাপড় ধুয়ে রোদে ভালো করে শুকিয়ে ইস্ত্রি করে ব্যবহার করা। 

যে কোনো স্যাঁতসেঁতে স্থান এড়িয়ে চলা। 

ঘাসের সংস্পর্শ যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা। 

ফুল বা পারফিউমের ঘ্রাণ না নেওয়া। 

রান্না করার সময় মসলার ঝাঁঝালো গন্ধ এড়াতে মাস্ক বা গামছা ব্যবহার করা। 

ফ্রিজে রাখা খাবার ভালো করে গরম করে গ্রহণ করা। 

ঘরে ধূপ ব্যবহার না করা। 

ব্যবহূত বিছানার চাদর, বালিশের কভার এবং মশারি সপ্তাহে একবার ধুয়ে ফেলা। 

ঘর থেকে ছারপোকা, তেলাপোকা চিরতরে নির্মূল করা। 

ঠান্ডা পানি খাবার পরিহার করা।


যেসব খাবার পরিহার করা উচিত 

মাছ- ইলিশ, চিংড়ি, বোয়াল, পুঁটি; মাংস- গরুর মাংস, দুধ; ডিম- হাঁসের ডিম (সাদা অংশ); শাক-সবজি- মিষ্টি কুমড়া, কচু, বেগুন, পুঁইশাক এবং মসুর ডাল, ফল- আপেল, কলা এবং চকলেট, বাদাম। 


শ্বাসকষ্টের জন্য ব্যায়াম 

প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে মুক্ত পরিবেশে ১০ মিনিট শ্বাসের ব্যায়াম করা। 

জোরে জোরে শ্বাস টানা ও ফেলার অভ্যাস করা। 

শ্বাস গ্রহণের পর প্রায় ১৫ সেকেন্ড শ্বাস ধরে রাখার অভ্যাস করা। 

দুই ঠোঁট শিস দেওয়ার ভঙ্গিতে এনে ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে শ্বাস ত্যাগ করা।