অবশেষে নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলা সদরের বাদে আঠারবাড়ী মা হওয়া (আঃ) কওমী মহিলা মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ মুহ্তামিমের নামে ২টি ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার মাদ্রাসার শিশু শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১১) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এক বছরে ৬ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের কথা স্বীকারও করেছেন।
এ ঘটনায় নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো: শাহজাহান মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, কি লিখব আর কিভাবে লিখব, ভাষা পাচ্ছি না। তিনি একজন দাওরায়ে হাদীস, (সিলেট বালুরচর কওমী মাদ্রাসা হতে) মাওলানা, একজন বক্তা, একজন ইমাম, শুক্রবারে জুমআর নামাজের খতিব। মাওলানা (!!!) আবুল খায়ের বেলালী। শুক্রবারে তার বয়ান শুনার জন্য আধা ঘন্টা আগে মুসল্লীগণ এসে অপেক্ষা করেন মসজিদে।
কেন্দুয়ার আঠারবাড়ি এলাকায় মা হাওয়া (আ:) কওমী মহিলা মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক (মুহতামিম) যে মাদ্রাসায় রয়েছে প্রায় ৩৫ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্রী যাদের ১৫ জন আবাসিক। সেখানে তিনিও আবাসিক।
সময় সুযোগ বুঝে তিনি কলিংবেল চাপেন আর ওনার পছন্দমত একজন কোমলমতি ছাত্রীর ডাক পরে তার গা-হাত-পা টিপে দেবার জন্য। আর এক পর্যায়ে তিনি সেই অবুঝ শিশুদের উপর ঝাপিয়ে পরেন, (. . . . . ) এবং শেষে আবার কোরআন শরীফ হাতে দিয়ে শপথ করান কাউকে কিছু না বলার জন্য, বললে কিন্তু আল্লাহ তোমাকে দোযখের আগুনে পোড়াবেন। ভয়ে কোমলমতি ছাত্রীরা কাউকে কিছু বলেন না।
কিন্তু আজ এক সাহসী বীরাঙ্গনা সেই ভয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়ী হয়, বলে দেয় তার বড় বোন সহ বাড়ির সবাইকে সেই যন্ত্রনার মুহুর্ত গুলোর কথা। স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় আটক হন সেই হুজুররূপী ধর্ষক। থানায় আটক থাকা অবস্থাতেই আরো একজন শিশুশ্রেনীর ছাত্রীর অভিযোগ জমা পড়ে। দুইটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে তার নামে (কিছু অনলাইন পত্রিকায় ধর্ষণের চেষ্টার কথা বলা হয়েছে)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য পাই, গত একবছরে আরো মোট ৬ জন ছাত্রীর সাথে তিনি অনুরূপ কুকর্ম করেছেন যাদের সবারই বয়স ৮ থেকে ১১ এর মধ্যে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিছু আলামত জব্দ করি সাথে সেই ‘কলিংবেল’ টি ও যা আদালতে উপস্থাপন করা হবে।