দর্পণ ডেস্ক : রোববার (২১ জুলাই) সিহোরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। সেখানে এলাকার পরিচ্ছন্নতার বিষয় উঠে আসে।
তা নিয়ে সাধ্বী বলেন, নর্দমা পরিষ্কার করার জন্য আমাকে নির্বাচিত করেননি মানুষ। শৌচালয় পরিষ্কার করার জন্যও আনা হয়নি ক্ষমতায়। যে কাজের জন্য ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন মানুষ, সততার সঙ্গে সেই কাজটাই করব। আগেও বলেছি, দরকারে ফের এ কথাই বলব।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ এ সাড়া দিয়ে ঝাড়ু হাতে রাস্তায় নেমে এসেছেন বিজেপি সাংসদরা। ঠিক এমন সময়ই গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়ালেন ভোপালের সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা। তিনি জানিয়ে দিলেন, উন্নয়নের জন্য তাকে নির্বাচিত করেছেন মানুষ। নর্দমা বা শৌচাগার পরিষ্কারের জন্য নয়।
তিনি বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিধায়ক এবং পুরসভার কাউন্সিলরদের সঙ্গে একজোট হয়ে এলাকার উন্নতি সাধন করাই একজন সাংসদের কাজ। যখন তখন আমাকে ফোন না করে, যাবতীয় সমস্যা নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে যান। কাজ করিয়ে নিন।
সাধ্বীর সেই মন্তব্যের একটি ভিডিও সামনে এসেছে। আর তাতেই অস্বস্তি ছড়িয়েছে বিজেপিতে।
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ চালু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ বছর মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাতে যোগ দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে সমস্ত সাংসদকে। যার পর সম্প্রতি সংসদ চত্বরে ঝাড়ু নিয়ে নেমে পড়েন হেমা মালিনী, অনুরাগ ঠাকুরসহ বিজেপির একাধিক নেতা-নেত্রী।
এমন পরিস্থিতিতে সাধ্বী প্রজ্ঞার এই মন্তব্যকে ঔদ্ধত্য হিসাবে দেখছেন বিজেপির অন্দরের কেউ কেউ। আবার এমন মন্তব্য করে সাধ্বী প্রধানমন্ত্রীকেই অপমান করেছেন বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা তারিক আনোয়ারও। তার কথায়, স্বচ্ছ ভারত অভিযান নিয়ে নিজের অবস্থানই স্পষ্ট করেছেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। নরেন্দ্র মোদির উচিত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
এর আগে, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক মুখে গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে দেশপ্রেমী বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মালেগাঁও বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা। এই মন্তব্যের জন্য তাকে ক্ষমা করতে পারবেন না বলে সেইসময় মন্তব্য করেন নরেন্দ্র মোদি।