দর্পণ ডেস্ক:
নাটোর-পাবনা মহাসড়কে নাটোরের বড়াইগ্রামে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজনসহ ১৫ জন নিহত ২০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের অধিকাংশই লেগুনার যাত্রী।
শনিবার বিকেল ৪টার দিকে লালপুরের কদমচিলান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ১২ জন ও হাসপাতালে নেয়ার পর একজন নিহত হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা রাতে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে ১২ জনই লেগুনার যাত্রী। সর্বশেষ দুজন নিয়ে নিহত বাসযাত্রীর সংখ্যা দাঁড়ালো তিনজন।
এছাড়াও বাসের ১৭ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৫ জন নারী ও ২ শিশু।
নিহতরা হলেন- লেগুনা যাত্রী পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি শ্মশানপাড়ার মিন্টু রোজারিও’র স্ত্রী আদুরী বিশ্বাস (৩৫), ছেলে প্রত্যয় বিশ্বাস (১২) ও ১০ মাস বয়সী মেয়ে স্বপ্না বিশ্বাস। লেগুনা চালক নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের আবদুর রহিম (২৮), নাটোরের বড়াইগ্রাম নারায়ণপুরের আবু তাহেরের স্ত্রী রজুফা খাতুন (৫০) ও রূপচাঁদের স্ত্রী শেফালী খাতুন (৩৫), জামাইদিঘা গ্রামের নূরফেল সরদারের স্ত্রী লগেনা বেগম (৫০), টাঙ্গাইলের গােপালপুরের আরআরপিফিড কোম্পানির কর্মকর্তা রোকন উদ্দিন (৫৫), পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়ার মিরকামারির সালামত উল্লাহর স্ত্রী শাপলা খাতুন (২০) ও একই এলাকার মো. আবদুস সোবহান (৭৫)। অন্যদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, বিকেল ৪টার দিকে পাবনা থেকে রাজশাহীগামী চ্যালেঞ্জার পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে বনপাড়া থেকে ঈশ্বরদীগামী লেগুনার সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ও নাটোর থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে বনপাড়া পাটোয়ারী ক্লিনিক ও আমেনা হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের পরিস্থিতির অবনতি হলে দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও একজনকে নাটোর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুজ্জামানকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- নাটোর বিআরটিএর সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান ও একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার যার নাম নিশ্চিত করবে পুলিশ প্রশাসন।
ওই কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহকে প্রধান করে তিন সদস্যের আরো একটি তদন্ত কমিটি করেছে পুলিশ। এদিকে নিহত সকল পরিবারকে নগদ ১০ হাজার টাকা আর আহতদের ৫ হাজার করে টাকা সাহায্যের ঘোষণা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন। তবে জেলা প্রশাসক সার্বিক ড. রাজ্জাকুল ইসলাম বলেন, পরবর্তীতে অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আরো আর্থিক সহায়তা করা হবে।

News Editor : Ganash Chanro Howlader. Office: 38-42/2 Distillery Road, 1st floor, Gandaria, Dhaka-1204.