দর্পণ ডেস্ক : শুক্রবার সকালে বরগুনা থেকেপুলিশ নিজ ঘর থেকে বৃদ্ধ দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহতরা হলেন সদর উপজেলার ৭নং ঢলুয়া ইউনিয়নের নলী এলাকার আব্দুল মান্নান ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতদের বড় ছেলে নজরুল ইসলাম ননি ও তার স্ত্রী বিথি আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয় এবং প্রতিবেশীদের নিকট হতে জানা যায়, দ্ধ আব্দুল মান্নান দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইজ রোগে অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে ছিলেন। নিহত মান্নানের সম্পত্তি দুই ছেলে অনেক আগেই লিখে নিয়েছে। এরপর থেকে বাবা-মায়ের ভরন-পোষণের কোনো দায়িত্ব নেয়নি সন্তানরা। এ পরিস্থিতিতে নিহত ফাতেমা বেগম ঝিয়ের কাজ করে অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসাসহ সংসার পরিচালনা করতেন। কিছুদিন আগে থেকে মায়ের (নিহত ফাতেমা) ৪৪ শতাংশ জমি লিখে নেওয়ার জন্য ছেলেরা পাঁয়তারা করে আসছিল। জমি লিখে না দেওয়ায় বড় ছেলে নজরুল ইসলাম ননী ও তার স্ত্রী বিথী একাধিকবার বৃদ্ধ বাবা-মাকে মারধর করেছে। এলাকাবাসী এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক করেছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবারও বড় ছেলে এবং ছেলের স্ত্রীর সঙ্গে এ দম্পতির সালিশ হয়। মৃত্যুর পেছনে এসব কারণ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবীর মোহাম্মদ হোসেন জানান, রাতে খাবার খেয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন বৃদ্ধ দম্পতি। পরে সকাল হলেও তাদের ঘুম না ভাঙায় ঘরে ঢুকে তাদেরকে মৃত দেখতে পান স্বজনরা। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

ওসি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে নিহতদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন অথবা বিষপানেরও কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল রহস্য উৎঘাটন হবে।