এখনও নিখোঁজ রয়েছেন কনেসহ আরও ৬ জন
রাজশাহীতে পদ্মা নদীতে বর-কনে যাত্রীবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন কনেসহ আরও ৬ জন।
শনিবার (৭ মার্চ) দুপুরে একলাস আলী নামের একজনের লাশ উদ্ধারের পর এ নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনজনে। নিখোঁজদের সন্ধানে দলকল বাহিনী, বিজিবি, নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লুটিএ’র একটি ডুবুরি দল যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
নৌ-পুলিশের রাজশাহী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ জানান, শনিবার দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে একলাস আলী (২২) নামের একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।এর আগে সকালে চারঘাট এলাকা থেকে মনি খাতুন (৪০) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ঘটনার দিন রাতে মরিয়ম নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিনজনে।
ইতোমধ্যেই ডুবে যাওয়া নৌকা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান নৌ পুলিশের ওসি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বরাত দিয়ে পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হোসেন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রবল স্রোতের কারণে রাজশাহী মহানগরীর চরখিদিরপুর সংলগ্ন পদ্মা নদীতে বিয়ে বাড়ির বর-কনে যাত্রীবাহী দুটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকা দুটিতে অন্তত ৩৫ জন নারী-পুরুষ ও শিশু ছিল।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, নিখোঁজদের উদ্ধারে দমকল বাহিনী, বিজিবি ও নৌ-পুলিশ রাত থেকেই উদ্ধার অভিযান চালায়। সকালে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিআইডাব্লুটিএ’র একটি ডুবুরি দল। এই নৌকাডুবির ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সকাল থেকে তদন্ত শুরু করেছে।
এছাড়াও পদ্মাপাড়ে নিখোঁজ ও হতাহতের অনুসন্ধান উদ্ধার কার্যক্রম সমন্বয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। নিহতের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে। এছাড়াও আহতের চিকিৎসা ব্যয় বহন করবে সরকার বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।