তিনি বলেন, ডেল্টা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি দেশে গ্রিন বন্ডের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্বব্যাংক আয়োজিত ‘গ্রিন বন্ড অপরচুনিটি ফর মিউনিসিপ্যাল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়েস্ট ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন সারা বিশ্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধরিত্রীকে রক্ষার জন্য প্রতিটি দেশ এবং পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো নানা উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমান সরকারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশকে রক্ষায় কাজ করছে।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের মানুষ এই বন্ড সম্পর্কে ভালোভাবে অবহিত নয়। সেই জন্যই আজকের এই আয়োজন। আমি আশা করি- এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষ গ্রিন বন্ড সম্পর্কে জানবে এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখবে। বাংলাদেশ ডেল্টাপ্ল্যান থেকে শুরু করে টেকসই উন্নয়ন ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার বিষয়গুলো গ্রিন বন্ড ট্যাক্স গাইডলাইনে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, উদ্যোক্তাদের গ্রিন বন্ডের জন্য সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে প্রজেক্ট জমা দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর সেই প্রজেক্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেওয়া হবে। তারপর যেকোনো দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী এখানে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এখানকার বিনিয়োগ একদিকে যেমন পরিবেশ রক্ষা হবে অন্যদিকে বিনিয়োগকারীরা লাভবানও হবেন।
সরকার দূষিত পানি রিসাইক্লিং করে ব্যবহারযোগ্য করার কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জাপান, কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরসহ উন্নত দেশসমূহ পানি রিসাইক্লিং করছে। বাংলাদেশও তাদের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে পানি ব্যবহার উপযোগী করতে কাজ করছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম এবং ২০৩০ ওয়াটার রিসোর্সেস গ্রুপের প্রোগ্রাম ম্যানেজার পরোমেশ্বর আইয়্যার।