বগুড়ার শিবগঞ্জে নলকূপের মালিকানা নিয়ে ২ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় এক গৃহবধূর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়াসহ ১০টি বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। সংঘর্ষে  ৬ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। 

বুধবার বিকেলে উপজেলার খাদইল সরকারপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় পৃথক ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার উপজেলার বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের খাদইল সরকারপাড়া গ্রামের জামুরহাট মৌজায় অবস্থিত ১টি নলকূপের মালিকানা নিয়ে সরকারপাড়া ও মুন্নাপাড়া গ্রামের ২ গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় গ্রামের সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৬জন আহত হয়। খাদইল সরকার পাড়া গ্রামের আব্দুল গফুর সরকারের ছেলে মো. আ. মতিন সরকার ও  পার্শ্ববর্তী মুন্নাপাড়া গ্রামের আব্দুল মমিনের ছেলে ডা. আ. মতিনের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের লোকেরা সরকারপাড়া গ্রামের আজবাহার সরকারের স্ত্রী হাজেরা বেগমের (২৭) বাড়িতে ঢুকে কাঁচি ও ক্ষুর দিয়ে তার মাথার একাংশ ন্যাড়া করে দেয়। এ সময় ১০টি বাড়ী-ঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। 

হাজরো বেগমের অভিযোগ, হামলাকারীরা জোর তরে তার মাথার চুল কেটে দিয়েছে এবং  ১০টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। 

তবে প্রতিপক্ষ মুন্নাপাড়া গ্রামের ডা. আ. মতিন বলেন, প্রতিপক্ষদের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের সঙ্গে তাদের কেউ জড়িত নয়। গৃহবধূ হাজেরা বেগম নিজেই মাথার চুল ন্যাড়া করে মিথ্যা মামলার পথ বেছে নিয়েছেন।

শিবগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং ঘটনাস্থল থেকে ফরিদ উদ্দিন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।