পাপিয়াদের দায় নিয়ে যুব মহিলা লীগ নেতৃত্ব কেন পদ হারাবে না?

যুব মহিলা লীগের নেত্রী পাপিয়া ১৫ দিনের রিমান্ডে। জিজ্ঞাসাবাদে সে তার গডমাদার ও গডফাদারদের নাম নিশ্চয়ই বলবে! এতে কি এমন ভয়ংকর অপরাধের চেইনে বা সিন্ডিকেটে জড়িতদের নাম কি আসবে? তার কাছে পাওয়া ভিডিও ক্লিপে যাদের কুৎসিত চরিত্র উন্মোচিত হয়েছে তাদের কি ধরা হবে?

আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী নিয়ে মামলায় সবাইকে আটক করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে? ক্যাসিনো বাণিজ্যের অপরাধে সম্রাটকে ধরা হলো; যুবলীগের চেয়ারম্যান নেতৃত্ব হারালেন; সম্রাট বহিষ্কৃত হয়ে জেল খাটছেন। সম্রাটতো অনেক তথ্য দিয়েছিলেন, কারা তার ক্যাসিনোর টাকার ভাগ পেতেন? তার তথ্যের আলোকে আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দী নিয়ে কি মামলায়-কাঠগড়ায় আনা হয়েছে? ক্যাসিনো বাণিজ্যতো একদিনে একজনের ক্ষমতায় চলেনি! টাকার ভাগ কারা নিয়েছেন?

পাপিয়ার সাথে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী অনেক নেতা ও সম্মানিতদের ছবি ভাইরাল করে তাদের কেন বিব্রত করা হচ্ছে?নষ্টদের দলে সমাজে জায়গা দেবেন, যে কেউ যে কোনো অনুষ্ঠানে গেলে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে দেবে, আর এ নিয়ে মজা করার কোনো মানে হয়? অনেকেতো তাকে চিনেনই না।

সমাজে রাজনীতিতে কত পাপিয়া আছে? আছে তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতা ও অপরাধের সঙ্গী? তাদের সন্ধান করে, তাদের নাম রিমান্ডে জেনে, তাদের আসরের খদ্দেরদেরসহ শক্তিদাদাতা ও প্রশ্রয়দাতাদের আইনের আওতায় আনা হবে না কেন? গোয়েন্দা সংস্থা চাইলেই বের করতে পারেন সমাজের রাজনীতির সকল বেশ্যা, বেশ্যার দালাল, সর্দারনি ও তাদের অপরাধের আশ্রয়-প্রশ্রয় শক্তি দাতাদের! বেশ্যাদের চেয়েও বড় অপরাধী এদের নিয়ে গড়ে তোলা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতার অপরাধ জগতের অপরাধীরা।

সম্রাট আর পাপিয়া জেল খাটবে আর তাদের অন্ধকার জগতে এগিয়ে দেয়া বা টেনে আনা, সকল অপরাধের সাথে যুক্ত শক্তিশালী মদদদাতা, আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতা ও বেনিফিশিয়ারিরা কেন আইনের আওতায় শাস্তি পাবে না?সরকার ও সরকারি দলকে আজ এই বিষয়ে নির্মোহ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। না পারলে, অপরাধের নেপথ্য শক্তিধররা আরো বেপরোয়া হবে, অপরাধ কমবে না, বাড়বে। সরকার ও দলে পাপিয়াদের দৌরাত্ম্যও বেড়ে যাবে। সমাজ রাজনীতি নষ্টদের দাপটে আরও কলুষিত হবে।

লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব