মঙ্গলবার ডিএমপির উপকমিশনার, মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশনস, মাসুদুর রহান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গণমাধ্যমে পাঠানো ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিএমপির বিমান বন্দর থানার ও শেরে বাংলা থানার মামলায় শামীমা নুর পাপিয়া, তার স্বামী সুমন, সহযোগী সাব্বির খন্দকার এবং তাইবা নুরদেরকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি জিজ্ঞাসাবাদ করছে। বর্ণিত মামলা সম্পর্কে অভিযুক্তদেরকে ডিবি হেফাজতে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যসমূহ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বিচার্য বিষয়সমূহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সাক্ষীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সমগ্র বিষয় এখনও তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে থাকায় এ বিষয়ে ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য প্রদান করা হয়নি।
এতে আরো বলা হয়েছে, কিন্তু উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি কিছু কিছু গণমাধ্যমে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কোন রকম আলাপ-আলোচনা না করে তদন্ত সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করছে। তদন্তে প্রাপ্ত কথিত তথ্য হিসেবে তদন্তাধীন মামলার বিষয়ে রিমান্ডে থাকা অভিযুক্তদের সম্পর্কে মনগড়া তথ্য প্রচারের ফলে তদন্তকারী কর্মকর্তার ওপর মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক চাপ তৈরি হয়। যার ফলে বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত ব্যাহত ও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। বর্ণিত অবস্থার প্রেক্ষাপটে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পেশাদারি ও দায়িত্বশীল আচরণ প্রদর্শনের জন্য অনুরোধ করছে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ ফেব্রুয়ারি অর্থপাচার, বিদেশি জাল মুদ্রা সংরক্ষণ ও মাদক ব্যবসার অভিযোগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাপিয়া, তার স্বামী ও দুই সহযোগীকে আটক করে র্যাব-১। পরে তাদের নিয়ে ফার্মগেটের বাসায় অভিযান চালিয়ে নগদ ৫৮ লাখ টাকা, বিদেশি মুদ্রা, পিস্তল, গুলি ও মদ উদ্ধার করে র্যাব। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় একটি এবং শেরেবাংলা নগর থানায় দুটি মামলা করে র্যাব। তিন মামলায় পাপিয়াসহ চারজন ১৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছে। মামলাটি এখন ডিবিতে রয়েছে।