অনলাইন ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জে প্রেমিকের বাড়িতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী। ধর্ষণের পর তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেটের আগুন দিয়ে ছ্যাঁকা দিয়েছে ধর্ষণকারীরা। এ ঘটনায় বুধবার ভোরে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন-উপজেলার পূর্ব জয়পুর গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে ছায়েদ আলী (৪৫) ও একই গ্রামের তৈয়ব খানের ছেলে মো. এমরান মিয়া (৩৫)।

ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার দিঘিবরাবর গ্রামে। পূর্বে তার একটি বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু ৬ মাসের মাথায় স্বামী মারা যায়। পিতার অভাব-অনটনের সংসারে তিনি গার্মেন্টসে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। একটি অনুষ্ঠানে বাহুবল উপজেলার পূর্ব জয়পুর গ্রামের তৈয়ব খার মেয়ে লিপি আক্তারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। লিপি তার ভাই বাহুবল উপজেলা পরিষদের পিয়ন আলমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। একপর্যায়ে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

প্রেমের টানে গত সোমবার দুপুরে আলম ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। ওই নারী তাকে বিয়ের কথা বললে আলম জানায়, রাতে তাদের বিয়ে হবে। পরে রাতে একটি নির্জন বাড়িতে তাকে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে রাতভর আলমসহ বেশকয়েকজন যুবক তাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেট দিয়ে ছ্যাঁকা দেয়।

মঙ্গলবার সকালে ধর্ষণকারীরা তাকে রাস্তায় ফেলে দিলে মুর্মূষু অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

বাহুবল মডেল থানার ওসি মাসুক আলী জানান, বুধবার দুপুরে নাজমা বাদী হয়ে বাহুবল মডেল থানায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা একজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।