অনলাইন ডেস্ক : নরসিংদীতে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগে আটজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার রাত ১টার দিকে শহরের পৌর শিশু পার্কে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষিত ওই তরুণী বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় আটজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন- শহরের দত্তপাড়ার প্রেমানন্দ দাসের ছেলে সম্রাট (২৮), রাঙ্গামাটি এলাকার হাজী আ: হাইয়ের ছেলে সাকিব মিয়া (১৯), তরোয়া এলাকার ইয়াকুব মিয়ার ছেলে জালাল উদ্দিন (১৮), শিবপুর মুন্সেফেরচরের মৃত শাহজাহান মিয়ার ছেলে নাজমুল হোসেন (৩১), শহরের ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার আসাদ মিয়ার ছেলে জুয়েল (১৮), একই এলাকার মো. মন্টু মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (২৭), সাহেপ্রতাব এলাকার আ: রশিদ মিয়ার ছেলে রাকিব মিয়া (২০) এবং চাঁদপুর হাইনচরের পূর্বচর কৃষ্ণপুর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে শাহ্ আলম (৩২)।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, নরসিংদী শহরের সাহেপ্রতাব এলাকার আশিক শেখের সাথে গণধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছে। আশিক শেখ তাকে বিয়ে করার আশ্বাস দিলে তিনি জয়পুরহাট থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের সাহেপ্রতাবে আসেন।
সেখান থেকে আশিক তার ফুফাতো ভাইকে সাথে নিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশে রিকশাযোগে রওনা দেন। রিকশাটি কিছু দূর যেতেই মোটরসাইকেলে করে ৩ বখাটে যুবক তাদের গতিরোধ করে। তারা আশিককে মেরে রাস্তার পাশে আটকে রেখে ওই নারীকে জোরপূর্বক নরসিংদী পৌর শিশু পার্কে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
পরে তারা সেখান থেকে একটি প্রাইভেটকারে থাকা আরো তিনজনের কাছে তুলে দেয়। সেখান থেকে তাকে নিয়ে রাত আড়াইটার দিকে শিবপুরের কুমড়াদীতে একটি পরিত্যাক্ত মিলের ভিতর নিয়ে পুনরায় তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
সেখান থেকে তাকে ইটাখলায় নামিয়ে দিলে তার প্রেমিক আশিক তাকে উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশকে অবগত করেন।
পরে গোয়েন্দা পুলিশ ওই নারীকে সাথে নিয়ে ধর্ষকদের গ্রেফতারে অভিযানে নামে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফ্ফার ও তার টিম গতকাল শনিবার ভোর থেকে আজ ভোর পর্যন্ত নির্যাতিত তরুণীর শনাক্ত অনুযায়ী আট বখাটেকে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল, একটি প্রাইভেট কার ও একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জাকির হাসান বলেন, এ ঘটনায় নারী বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। নারী ও তার প্রেমিক আশিক শেখ বর্তমানে আমাদের হেফাজতে আছেন। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে চারজন ধর্ষণকারী ও চারজন সহযোগী। তাদের সবাইকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।