দর্পণ ডেস্ক : নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় রোববার দুপুরে ‘মিট হাডসন নুর ইসলামিক সিমেট্রি’তে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহর (৩৩) জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। জানাজায় ফাহিমের পরিবার ছাড়াও বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশীরা উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার নিজের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ফাহিমের খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ উদ্ধার করে নিউইয়র্কের পুলিশ। তার হাত, পা, মাথা সব বিচ্ছিন্ন করা ছিল। তদন্ত কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, ফাহিমকে হত্যার পর টুকরো টুকরো করে মরদেহ স্যুটকেসে ভরে গুম করার পরিকল্পনা ছিল খুনির। তবে, কেউ এসে পড়ায় হয়তো কাজ অস্পূর্ণ রেখেই পালিয়ে যায় সে।

জানা যায়, ফাহিমের বাবা সালেহ উদ্দিন বড় হয়েছেন চট্টগ্রামে আর মা নোয়াখালীতে। ফাহিম ইনফরমেশন সিস্টেম বিষয়ে আমেরিকার বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। গত বছর প্রায় সাড়ে ২২ লাখ ডলার দিয়ে ম্যানহাটনের ডাউনটাউনে একটি অ্যাপার্টমেন্টটি কিনেছিলেন তিনি। পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও নাইজেরিয়া এবং কলম্বিয়ায় এমন আরও দুটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ কোম্পানির মালিক ছিলেন ফাহিম সালেহ।

সম্প্রতি ফাহিমের কাছ থেকে প্রায় এক লাখ ডলার চুরি করেন তার ব্যক্তিগত সহকারী টাইরিস হ্যাসপিল। তবে এ ঘটনায় কোনো আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে হ্যাসপিলকে কিস্তিতে টাকা ফেরত দেয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন ফাহিম।

তদন্তকালে গোয়েন্দারা ফাহিমের ফোনে পাওয়া একটি টেক্সট মেসেজ থেকে এই টাকা চুরির বিষয়ে জানতে পেরে হ্যাসপিলের ওপর নজরদারি শুরু করেন। পরে গত শুক্রবার (১৭ জুলাই) গ্রেফতার করা হয় তাকে। গ্রেফতারের পরপরই হ্যাসপিলের বিরুদ্ধে সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডারের অভিযোগ আনা হয়।