অনলাইন ডেস্ক : বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ফ্রান্সের জন্য বড় শক্তি তাদের গতি। একই সঙ্গে ফরাসিদের জমাট ভাব যেটা তারা বেলজিয়ামের বিপক্ষে সেমিফাইনালে দেখিয়েছিল। এটাও খানিকটা এগিয়ে রাখছে ফরাসিদের। তাই বলে ক্রোয়েশিয়াও কিন্তু কম নয়। এসব কিছুর উত্তর তাদের কাছে থাকতে পারে। যেমন সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে উত্তর দিয়েছে ক্রোয়াটরা। ক্রোয়েশিয়া যদি নিজেদের সবটুকু দিয়ে ফ্রান্সের জমাট রক্ষণভাগ ভাঙতে পারে তাহলে তাদেরও বিশ্বকাপ জেতার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু আমার কাছে একটা জিনিস পরিস্কার- বিশ্বকাপের ফাইনালে ফেভারিট হিসেবেই নামছে ফ্রান্স।
বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার পারফরম্যান্স দেখে আমি অভিভূত। যোগ্য দল হিসেবেই তারা ফাইনালে উঠেছে। ক্রোয়েশিয়ার ফিজিক্যাল শক্তির চেয়ে ওদের মানসিক দৃঢ়তা অনেক বেশি। তার বারবার প্রমাণ করেছে তারা। নকআউট পর্বের তিনটি ম্যাচই তারা ১২০ মিনিট খেলেছে। এমনকি তিন ম্যাচেই শুরুতে পিছিয়ে পড়েছিল তারা। এরপর যেভাবে কামব্যাক করেছে, তা এককথায় অবিশ্বাস্য। ফুটবলারদের অগাধ অভিজ্ঞতা ও তুমুল আত্মবিশ্বাস যথেষ্ট প্রশংসার দাবি করে। দলের অনেকেই ইউরোপের নানা বড় বড় লীগে বড় বড় ক্লাবে অনেক মৌসুম ধরে খেলছেনই শুধু নয়, নিজেদের ক্লাবের প্রধান স্তম্ভও। আসলে বড় বড় ক্লাবে অনেক বছর খেলার সুবাদে ক্রোয়েশিয়া শিখে গেছে, কীভাবে আত্মতুষ্টি বা বেপরোয়া ভাবকে ঢাকতে হয়।
অভিজ্ঞ নয়, তরুণ দল নিয়েও যে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা যায়, তা দেখিয়েছে দিদিয়ের দেশমের ফ্রান্স। সেমিফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে সেট পিসে গোল করার পর দারুণ বুদ্ধির সঙ্গে খেলেছিল ফ্রান্স। যার পেছনে আছেন তাদের কোচ দেশম। তিনি বিশ্বকাপ জেতা ফুটবলার। বিশ্বকাপ জিততে কী পরিমাণ শৃঙ্খলা, ট্যাকটিক্যাল একতা, মাঠে প্রত্যেকের সঙ্গে বোঝাপড়া জরুরি- সেই বোধগুলো দেশম এই ফ্রান্স দলের মধ্যে ঢোকাতে পেরেছে। অন্তত ফাইনালের আগ পর্যন্ত ফ্রান্সকে দেখে তেমনই মনে হচ্ছে। পল পগবার মতো অবাধ্য ফুটবলারের কাছ থেকে পর্যন্ত সেরাটা বের করে এনেছেন দেশম। কিলিয়েন এমবাপ্পে-আন্তোনিও গ্রিজম্যানের মতো তরুণ প্রতিটি ম্যাচেই নিজেদের জাত চিনিয়েছে। ফ্রান্স এগিয়ে থাকলেও ঘুরে দাঁড়ানোর মানসিকতার কারণে ক্রোয়েশিয়ারও ভালো সম্ভাবনা আছে।