করোনাভাইরাস

রবিবার (৮ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করে আইইডিসিআর

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত ৩ রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। রবিবার (৮ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআর)।

আক্রান্তদের মধ্যে দু’জন সম্প্রতি ইতালি থেকে দেশে ফিরেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান আইইডিসিআর-এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

তিনি জানান, “আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী ও দুইজন পুরুষ রয়েছেন। আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তাদেরকে বর্তমানে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আক্রান্তদের বয়স ২০-৩৫ বছরের মধ্যে।”

ফ্লোরা আরও বলেন, “দু’জন দেশে আসার পর তাদের উপসর্গ দেখা দেয়। আমাদের হটলাইনে ফোন দিলে আমরা তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠাই। সেখানে দুজনের পজেটিভ আসে। তাদের কন্টাক্টে থাকা চারজনকে পরীক্ষা করেছি। একজন পজেটিভ। বাকিদের নেগেটিভ এসেছে।”

করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ প্রসঙ্গে আইইডিসিআর-এর পরিচালক বলেন, “নভেল করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত।”

“রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু”, যোগ করেন তিনি।

এর আগে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “ইনশাআল্লাহ, আমাদের পর্যাপ্ত সক্ষমতা (করোনাভাইরাস মোকাবিলায়) রয়েছে এবং আমরা যথাযথ ব্যবস্থা করবো। এখানে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু নেই।”

তিনি আরও  বলেন, “সরকার ২৪ ঘণ্টা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং যেকোনো জায়গায় সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তবে সবাইকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।”

শেখ হাসিনা আরও বলেন, “স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রতিদিন করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নির্দেশনা দিচ্ছে। আমি অনুরোধ করব সকলকে সেই নির্দেশনাবলী মেনে চলার।”

গত শনিবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে বিশ্বে এক লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর এসবের বেশিরভাগই উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের ঘটনা। চীনের পরে করোনার ভয়াবহতায় যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের ইতালি ও মধ্যপ্রাচ্যের ইরান।