আড্ডারত সহপাঠী বন্ধু-বান্ধবীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বখাটেদের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে এক কলেজছাত্রকে। বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকায়।
নিহত নাঈম সরকার গাজীপুর মহানগরের পশ্চিম ভুরুলিয়া এলাকার লোকমান সরকারের ছেলে। তিনি স্থানীয় মডেল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, নিহত নাঈমের সহপাঠী মুন্না ও তার এক বান্ধবী কলেজের পাশে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয় বখাটে রাজন, রনী, ইমনসহ কয়েকজন গিয়ে তাদের আড্ডা দিতে নিষেধ করে হুমকি-ধমকি দেয়। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মুন্না গিয়ে ডেকে আনেন নাঈমকে। নাঈম সেখানে গিয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান এবং মুন্নাকে অপমান করার কারণ জানতে চান রাজনের কাছে। এতে রাজন ও তার বন্ধুরা ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। তবে কিছুক্ষণ পর ছুরি ও চায়নিজ কুড়াল নিয়ে এসে নাঈমকে খুঁজতে থাকে তারা। এক পর্যায়ে লালমাটিয়া বাজার এলাকায় নাঈম ও মুন্নাকে পেয়ে ছুরিকাঘাত ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায় রাজন ও তার সঙ্গীরা। স্থানীয়রা নাঈমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত মুন্নাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মুন্না বোর্ডবাজার এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ভুরুলিয়া এলাকার টিপু সুলতানের ছেলে ঘাতক রাজন নানাবাড়িতে থেকে বখাটেপনা করত। নাঈম হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী তার নানাবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর থানার ওসি আলমগীর ভূঁইয়া জানান, নাঈমের লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ইমন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছে।