মাদক সংশ্লিষ্টতার কারণে পুলিশ সুপার তাকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানার ইউনিয়নের ছাত্রলীগ সভাপতি এরশাদুল হক ও সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলামকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) দিবাগত রাতে উপজেলার রামখানা ইউনিয়ন থেকে ইয়াবাসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। নিয়মিত মাদক সেবনের পাশাপাশি ব্যবসা করে আসছিলেন তারা।
ডিবি পুলিশ, কুড়িগ্রামের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোখলেছুর রহমান ঢাকা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, এরশাদুল হক দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবনের পাশাপাশি ব্যবসাও করে আসছিল। শনিবার নাখারগঞ্জ বাজার থেকে সহযোগী শফিকুল ইসলামসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ পাওয়া যায় ৩০টি ইয়াবা ট্যাবলেট।
নাগেশ্বরী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ফজলুল করিম সাজু জানান, ‘‘রামখানা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এরশাদুল হকের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মাদক ব্যবসার অভিযোগ ছিল। জেলা পুলিশ সুপার তাকে সতর্কও করে দিয়েছিলেন। তবুও সে ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।’’
এছাড়া, ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িতে থাকাবস্থায় বিয়ে করার নিয়ম না থাকলেও দুইমাস আগে এরশাদুল বিয়ে করেছেন বলেও জানান সাজু। তিনি বলেন, ‘‘আমরা তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে কেন্দ্রে প্রতিবেদন পাঠাবো।’’
এদিকে, বিষয়টিকে “দুঃখজনক” আখ্যা দিয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, ‘‘আগেও তাকে থানা পুলিশের হেফাজত থেকে ছাড়িয়ে আনা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, “বিয়ে করার পর ছাত্রলীগের পদ এমনিতেই থাকে না। জেলা কমিটি না থাকায় আমরা তাৎক্ষণিক কোনও ব্যবস্থাও নিতে পারছি না। তবে এরশাদুল হক ও সফিকুল ইসলামকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে কেন্দ্রে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।’’
মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা এরশাদুল হককে আগেও সতর্ক করা হয়েছিল জানিয়ে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মো. মহিবুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘গত রাতে তাকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।’’
তাদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।