অনলাইন ডেস্ক : সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, বেপরোয়া গাড়ি চলানোর দুর্ঘটনায় হত্যার বিচার একমাত্র মৃত্যুদণ্ড। জাতীয় পার্টি রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আমরা আইন করেছিলাম।
শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজধানীর মহাখালী দক্ষিণপাড়ায় বাসচাপায় নিহত দিয়া খানম মীমের স্বজনদের সান্ত্বনা দিতে গিয়ে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় ছাত্রদের রাজপথে আন্দোলন প্রসঙ্গে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, ছাত্রদের এই দাবি রাজনৈতিক নয়, তাদের এ চাওয়া বাঁচার দাবি। তিনি ছাত্রদের চলমান আন্দোলনে তার পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন। শিশুদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের সমালোচনা করে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, নিন্দনীয় এ হামলা মেনে নেয়া যায় না।
গণপরিবহনে নৈরাজ্য প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, এখন ১০-১২ বছরের শিশুরাও গাড়ি চালায়। লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেস যেন দরকারই নেই। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে, তিনি আরও বলেন, দায়িত্বশীল এক মন্ত্রী যেভাবে হেসে হেসে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তা লজ্জাজনক।
শিশুদের এই আন্দোলনে পুলিশ ও শ্রমিক সংগঠনগুলো যেন সহিংস আচরণ না করে সে জন্যও সবাইকে সহনশীল থাকার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলন মেনে নিতে সরকারের প্রতিও আহ্বান জানান সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।
এ সময় সাবেক রাষ্ট্রপতির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, পার্টির মহাসচিব এবিএম রুল আমিন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, এস.এম. ফয়সল চিশতী, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, সাংগঠনিক সম্পাদক- মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, ফখরুল আহসান শাহজাদা, আব্দুল হামিদ ভাসানী, মো. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নেতা- এমএ রাজ্জাক খান, গোলাম মোস্তফা, কাজী আবুল খায়ের, মিজানুর রহমান দুলাল, আব্দুর রাজ্জাক, জহিরুল ইসলাম জহির, ফয়সলা দীপু ও জিয়াউর রহমান বিপুল প্রমুখ।