বিরাট কোহলি   -ফাইল ফটো

তিনি জানান, সব ক্রিকেটারেরই খারাপ সময় যায়। কোহলিরও খারাপ সময় যাচ্ছে। তবে একটি বড় শতরানে আগ্রাসন-আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে কোহলি।

২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে কোহলির ব্যাট শতরান নেই। এমনকি রান খড়াতেও ভুগছেন তিনি। ৭০টি সেঞ্চুরির মালিক কোহলি, ২০২০ সাল থেকে টেস্টের সর্বশেষ ১৭ ইনিংসে ৬টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৮৪১ রান করেন। ১৮ ওয়ানডে ইনিংসে ৯টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৭০২ রান করেছেন তিনি। টি-২০তে ৬টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ২২ ইনিংসে ৬৬৩ রান করেন কোহলি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যখন সেঞ্চুরি পাননি, তখন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) পঞ্চদশ আসরে বড় স্কোরের স্বপ্নে বিভোর ছিলেন কোহলি। কিন্তু সেখানেও ব্যর্থ হন তিনি। গেল মাসে শেষ হওয়া আইপিএলে ১৬ ম্যাচে ২২ দশমিক ৭৩ গড়ে ৩৪১ রান করেন কোহলি। তাই ব্যর্থতার পাল্লাটা আরো ভারী হলো কোহলির।

তবে একটি বড় শতরানই কোহলিকে পাল্টে দিবে বলে মনে করেন আজহারউদ্দিন। তিনি বলেন, কোহলির টেকনিকে কোন সমস্যা নেই। মাঝেমধ্যে আপনার ভাগ্যেরও দরকার হয়। যদি সে বড় স্কোর করে, বড় সেঞ্চুরি পায়, তাতে সেই আগ্রাসন এবং আত্মবিশ্বাস ফিরে আসবে।

ক্যারিয়ারের শুরু থেকে মাঠে নামলেই, সেঞ্চুরি যেন হাতের মোয়া ছিলো কোহলির। তাই কোহলির ব্যাটে হাফ-সেঞ্চুরিতে, মন ভরে না ক্রিকেট প্রেমিদের। কোহলিকে ব্যর্থর তালিকাতেই রাখা হয়। সেই কথাও মনে করিয়ে দিলেন আজহার।

৫৯ বছর বয়সী আজহার বলেন, যখন কোহলি হাফ সেঞ্চুরি করেন, মনে হয় সে ব্যর্থ হয়েছে। অবশ্যই সে এই বছর ভালো কিছু করেনি। প্রত্যেকে, এমনকি সেরা খেলোয়াড়েরা ক্যারিয়ারে বাজে অবস্থার মধ্য দিয়ে যায়।

চলতি সপ্তাহেই ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবে ভারত। আসন্ন সিরিজের দলে নেই কোহলি। কারণ এ মাসের শেষ দিকে ইংল্যান্ড সফরে যাবে ভারত। কোহলি-রোহিতসহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে চাঙ্গা রাখতেই ঘরের মাঠের সিরিজের তাদের দলে রাখেনি ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট।