বিষয়টি অনুসন্ধান করে দুই সপ্তাহের মধ্যে পুলিশ সুপার, বরিশালের এসবি’র পুলিশ সুপার, লিগ্যাল অ্যান্ড প্রসিকিউশন শাখা এবং দুদককে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আগামী ৫ মার্চ মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
আসামির জামিন শুনানিকালে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মোতাহার হোসেন সাজু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম আবদুর রউফ।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ভুয়া ও জাল নথি দিয়ে ব্যাংক গ্যারান্টার করে ইউসিবিএল ব্যাংকের বংশাল শাখা থেকে ২ কোটি ৬৮ লাখ ৭৪ হাজার ২৭৫ টাকা তুলে আত্মসাতের অভিযোগ পায় দুদক। এ ঘটনায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল ওয়াহিদ ২০০৮ সালের ১১ আগস্ট শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ৭ জনকে আসামি করা হয়। সেখানে মো. জুয়েল রানা নামের একজনকে করা হয় ৫ নম্বর আসামি। পরে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন তদন্ত করে ২০০৯ সালের ১ এপ্রিল অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর ৫ আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪০ লাখ টাকা করে জরিমানা করেন। এতে মো. জুয়েল রানারও সাজা হয়। সে বিচার চলার সময় অনুপস্থিত ছিল। তবে ২০১৭ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই মামলায় জামিন চেয়ে জুয়েল রানার পক্ষে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়।
শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, সাজা মো. জুয়েল রানা খাটছে না, তার পরিবর্তে মো. আবদুল কাদের নামের আরেকজন জেলে আছেন। তবে মো. জুয়েল রানা ও মো. আবদুল কাদেরের বাবার নাম ও ঠিকানা একই। বাবার নাম মৃত আয়নাল ঢালী, ঠিকানা বরিশালের বাবুগঞ্জের ছাতিয়া গ্রাম।