মঙ্গলবার রাজধানীর ঝিগাতলা বাসস্ট্যান্ডে দ্বিতীয় দিনের মতো উপনির্বাচনের প্রচার শুরু করার আগে এসব কথা বলেন তিনি।
শফিউল আলম মহিউদ্দিন, বিএনপি আগেই বলেছে তারা আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে মাঠে থাকবে। ভোট চাওয়া বা জনগণের কাছে যাওয়া তাদের মূখ্য উদ্দেশ্য নয়। মূলত তারা আন্দোলন করতেই নির্বাচনে এসেছে। ভোট তাদের মূখ্য উদ্দেশ্য নয়।
তিনি বলেন, ঢাকা-১০ আসন এলাকায় যানজট, শব্দ দুষণ, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, মাদক নির্মূল করতে আমরা আলাদা কর্মসূচি গ্রহণ করবো। প্রচার চালানোর সময় সাধারণ মানুষের কোনো প্রকার অসুবিধা না হয় সে দিকে খেয়াল রেখে প্রচার চালানোর জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিএনপি নির্বাচনী প্রচারে নামলে কেউ তাদের বাধা দেবে না। নির্বাচন কমিশনার সবার জন্য নির্বাচনী প্রচারের ব্যবস্থা করেছে। সবাই নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবে। আমরা প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচন চাই। জনগণের রায় নিয়ে নির্বাচিত হতে চাই।
মহিউদ্দিন বলেন, নির্বাচিত হতে পারলে সাবেক এমপি ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস যেখানে শেষ করেছেন সেখান থেকে শুরু করবো। এ আসনের এমপি শেখ ফজলে নূর তাপস ১১ বছর কাজ করেছেন। এলাকার প্রত্যেকটি অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তারপরও কিছু কিছু জায়গায় উন্নয়ন কাজ বাকি রয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে সেসব স্থানে প্রথম হাত দেব। বিশেষ করে এই এলাকাকে সন্ত্রাস এবং মাদকমুক্ত হিসেবে গড়ে তুলবো।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে যে কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে চলেছেন আমরা তার সহযাত্রী। আমাদের যার যার অবস্থান থেকে এলাকার উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবো। দেশের মানুষ এখন শান্তিতে আছে, স্বস্তিতে আছে। আগে হরতাল হতো জনগণের দাবি আদায়ের জন্য। এখন হরতাল ডাকা হয় বিএনপি নেতাদের সুবিধার জন্য। সে কারণে এখন আর হরতাল পালন হয় না।
নির্বাচনী প্রচারে উপস্থিত ছিলেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোর্শেদ কামাল, হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।