সাইফুল্লাহ নাসির, বরগুনা প্রতিনিধিঃ মাদক সেবনে বাঁধা দেয়ায় এক পরিবারের চারজনকে পিটিয়েছে মাদকসেবী দুই ভাই রাকিবুল ও রবিউল এমন অভিযোগ আকবর হাওলাদারের।আহত ওই পরিবারের দু’জন আকবর হাওলাদার ও জয়নুল আবেদীনকে শুক্রবার রাতে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।ঘটনা ঘটেছে তালতলী উপজেলার পূর্বঝাড়াখালী গ্রামে শুক্রবার বিকেলে।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে,উপজেলার পূর্ব ঝাড়াখালী গ্রামের সফিকুল ফকিরের দুই ছেলে রাকিবুল ও রবিউল দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করে আসছিল।এদের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ বলে জানান এলাকাবাসী।এদের বিরুদ্ধে তালতলী ও কলাপাড়া থানায় মাদক মামলা রয়েছে।শুক্ররার দুপুরে দুই সহোদর মাদক সেবন করে ওই গ্রামের আকবর হাওলাদারের পুকুর পাড়ে বসে মাতলামি করছিল। এ সময় আকবর হাওলাদার তাদের মাদকসেবন ও মাতলামী করতে নিষেধ করে।এতে দুই ভাই তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে।ওইদিন বিকেলে আকবর হাওলাদার এ ঘটনা দু’সহোদরের বাবা সফিকুল ফকিরের কাছে জানায়।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুই সহোদর আকবর হাওলাদারকে লোহার রড দিয়ে পেটাতে থাকে।ভাইকে রক্ষায় ভাই জয়নুল আবেদীন, স্ত্রী শাহাবানু ও ভাইয়ের স্ত্রী মমতাজ এগিয়ে আসলে তাদের মারধর করে।লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আকবর হাওলাদারের মাথা ফাটিয়ে ও জয়নুল আবেদীনের হাত ভেঙ্গে দেয়।আহত আকবর ও জয়নুল আবেদীনকে উদ্ধার করে ওই দিন রাতে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আলহাজ মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, আকবর হাওলাদারের মাথা ফাটা ও জয়নাল আবেদীনের হাতে গুরুতর জখমসহ সারা শরীরে ফোলা জখমের চিহৃ রয়েছে।
আকবর হাওলাদার বলেন,সফিকুল ফকিরের দুই ছেলে রাকিবুল ও রবিউল মাদক সেবন করে এলাকায় মাতলামী করে। দুই ভাইয়ের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। এদের বিরুদ্ধে তালতলী ও কলাপাড়া থানায় মাদক মামলা রয়েছে। দুই সহোদর মাদক সেবন করে আমার বাড়ীর পুকুর পাড়ে বসে মাতলামি করছিল।আমি ওদের মাদকসেবন ও মাতলামী করতে নিষেধ করলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে।আমি ওদের বাবার কাছে বিচার দিলে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে, আমার ভাই,আমার স্ত্রী ও আমার ভাইয়ের স্ত্রীকে মারধর করেছে।
রাকিবুল ও রবিউলের বাবা সফিকুল ফকির মুঠোফোনে মারধর ও দু’ছেলের বিরুদ্ধে মাদক মামলার কথা স্বীকার করে বলেন,আকবর হাওলাদার আমার মামা। মামা আমার ছেলেদের অহেতুক মারধর করেছে।
তালতলী থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় বলেন, খবর পেয়েছি।কোন অভিযোগ পাইনি।অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।