‌দর্পণ ডেস্ক : আফ্রিকান নেশন্স কাপে এর আগে দু’বার ফাইনাল খেলেও জিততে পারেনি সেনেগাল। ৩৩তম আসরে তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠে ঘুচলো আক্ষেপটা। গতকাল রোববার মিসরকে টাইব্রেকারে হারিয়ে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের আরাধ্য ট্রফি পেল সাদিও মানের দল।
একদিকে মোহাম্মদ সালাহ, অন্যদিকে সাদিও মানে। লিভারপুলের আক্রমণভাগের প্রধান দুই তারকার দ্বৈরথ জমজমাট হবে বলেই আশা ছিল সবার। কিন্তু ক্যামেরুনের ওলেম্বে স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ৯০ মিনিট কাটে গোলশূন্য। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। শেষতক পেনাল্টি শুটআউটেই গড়ায় ম্যাচের ভাগ্য। চলতি আসরে শেষ ষোলো ও সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে জিতেছে মিসর।
তবে এবার ভাগ্য সালাহদের পক্ষে থাকেনি। মানের সেনেগাল ৪-২ গোলে জিতে মাতে শিরোপার আনন্দে। মিশরের হয়ে পেনাল্টি মিস করেন মোহাম্মদ আব্দুল মোনেম ও মোহানাদ লাশিন। আর সেনেগালের হয়ে তৃতীয় শট নিতে এসে ব্যর্থ হন বুনা সার। চতুর্থ শটে সেনেগালের হয়ে পেনাল্টি কিকটি নেন মানে। ওই শটের ওপর নির্ভর করছিল মিসরের ভাগ্য। ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই সেরা সুযোগ মিস করে বসেন তিনি। ডিবক্সে মিসরের ফাউলের কারণে পেনাল্টি পেয়েছিল সেনেগাল। কিন্তু মানের নেয়া শট ফিরিয়ে দেন মিশরের গোলরক্ষক মোহাম্মদ আবু গাবাল। তাই সেনেগাল সমর্থকদের মনে ভয় কাজ করছিল। এবারো যদি মিস করেন মানে! কিন্তু সালাহদের আরেকটি সুযোগ দেননি মানে। গোল করে নিশ্চিত করেন জয়। গত আসরেও ফাইনালে তুলেছিলেন দলকে। সেবার আলজেরিয়ার কাছে স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের। বন্ধু সালাহকে হারিয়ে ওই আক্ষেপ ঘুচালেন তিনি।
নেশন্স কাপে সর্বাধিক ৭ বারের চ্যাম্পিয়ন মিসর। তবে সবশেষ ২০১০ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এ টুর্নামেন্টে দু’বার ফাইনাল খেলেও সাফল্যের মুখ দেখেনি ফারাওরা। এর আগে ২০১৭তে তারা হেরে যায় ক্যামেরুনের কাছে।
আফ্রিকার ১৫তম দল হিসেবে নেশন্স কাপ জিতেছে সেনেগাল। তাদের আগে এই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে মিশর (৭), ক্যামেরুন (৫), ঘানা (৪), নাইজেরিয়া (৩), আইভরি কোস্ট (২), আলজেরিয়া (২), ডিআর কঙ্গো (২), জাম্বিয়া (১), সুদান (১), ইথিওপিয়া (১), মরক্কো (১), দক্ষিণ আফ্রিকা (১) ও কঙ্গো (১)।