হাইড্রোজেন ট্রেন দেখতে কেমন? কী সুবিধা তাতে? দুটি প্রশ্ন করতেই পারেন। হাইড্রোজেন ট্রেন হলো এ খাতের নতুন প্রযুক্তি। বিশ্বের প্রথম হাইড্রোজেন ইঞ্জিনচালিত পরিবেশবান্ধব ট্রেন দেখিয়েছে জার্মান। ২০১৮ সালে নতুন ট্রেনটির যাত্রা শুরু হলেও এখন অবদি খুব একটা ব্যাপ্তি পায়নি। ফ্রান্সের দ্রুতগতির ট্রেন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যালস্টোম এ হাইড্রোজন ট্রেন বানিয়েছে।
‘কোরাডিয়া ইলিন্ট’ ট্রেন নামে ডাকা হচ্ছে এ প্রযুক্তিকে। ট্রেনের রঙ নীল। কুক্সহাফেন, ব্রেমারহাফেন, ব্রেমারফোয়ারডে ও বুক্সটেহুডে শহরের মধ্যে ১০০ কিলোমিটারের রেলপথে এটি চলে। এই পথে সাধারণত ডিজেলচালিত ট্রেন চলাচল করে। তবে ২০২১ সালের মধ্যে লোয়ার সাক্সনি রাজ্যকে জিরো কার্বন নিঃসরণের ১৪টি ট্রেন দেয়ার কথা রয়েছে বলে জানায় অ্যালস্টোম। কোরাডিয়া আইলিনট ট্রেন এক ট্যাংক হাইড্রোজেন দিয়ে এক হাজার কিলোমিটার পথ চলতে পারে, যা ডিজেলচালিত ট্রেনের মতোই।
অ্যালস্টোম জানিয়েছে, হাইড্রোজেন ট্রেন নির্মাণের পর যেমন এ খাতে বেশ পরিবর্তন এসেছে, তেমনি পরিবেশেরও লাভ হয়েছে। ট্রেনগুলোর জ্বালানির জন্য ‘ফুয়েল সেল’ ব্যবহার করা হয়, যা হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের সমন্বয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। হাইড্রোজেন ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়ার পরিবর্তে বাষ্প বের হবে। পরিবেশবান্ধব ট্রেনটি কোনো দূষণ নির্গমন করবে না। এর শব্দদূষণ নেই বললেই চলে। ইঞ্জিনচালিত রেলগাড়িগুলোতে খরচও পড়বে কম। ট্রেনে রাখা লিথিয়াম আয়নের ব্যাটারিতে অতিরিক্ত শক্তি সঞ্চিত থাকে।
অ্যালস্টোমের প্রকল্প ব্যবস্থাপক স্টিফেন স্যাচর্যাঙ্ক বলেন, ‘এটা সত্য, ডিজেল ইঞ্জিনচালিত ট্রেনের চেয়ে হাইড্রোজেন ট্রেনের দাম অনেক বেশি। তবে এর পরিচালনা খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক কম।’
দূষণ নিয়ন্ত্রণে ২০২২ সালের মধ্যে হাইড্রোজেন ট্রেন চালানোর আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে ফ্রান্স। এ ছাড়া ব্রিটেন, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, নরওয়ে, ইতালি ও ক্যানাডাসহ আরো কয়েকটি দেশ এ বিষয়ে বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আলস্ট্রোমের এক আধিকারিক।