নিজেকে সুস্থ ও সুন্দর রাখার জন্য পেটের বাড়তি মেদ কমানো দরকার। মেদ কমাতে কেউ ডায়েট করেন, কেউ আবার বিভিন্ন ওষুধ খান। কিন্তু প্রতিদিন ১৫ মিনিট খেললেই মেদ দূর করা সম্ভব। 

মেদ ঝরালেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। সার্বিক সুস্থতাও খুব দরকারি। তাই নিয়ম মেনে চলা, শরীরের উপর অত্যাচার না করে তাকে ঠিকঠাক ডায়েট ও শারীরিক কসরতে বেঁধে ফেলাটা অত্যন্ত জরুরি।

সম্প্রতি একটি হেলথ জার্নালে সার্বিক সুস্থতা নিয়ে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষকরা তাদের মত প্রকাশ করেছেন। ব্লাডপ্রেশার, ডায়াবিটিস বা ওবেসিটির সমস্যায় আক্রান্তদের সুস্থ থাকতে ব্যাডমিন্টন খেলায় আস্থা রাখতে বলছেন তারা। কিন্তু সব খেলা ছেড়ে হঠাৎ ব্যাডমিন্টন কেন?

গবেষকদের মতে, এর প্রধান কারণ শরীরের ফ্লেক্সিবিলিটি। এই খেলায় যেহেতু গোটা শরীরের পেশির সঞ্চালন হয়, তাই পেশির জোর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অস্থিসন্ধিগুলোও ভাল থাকে। শরীরে ব্যালান্স আসে, শাটল ককের উপর চোখ রাখতে রাখতে একাগ্রতা আসে, দৃষ্টিশক্তির জোরও বাড়ে। অন্যান্য দৌড়ঝাঁপের খেলাও শরীরের জন্য ভাল, তবে ব্যাডমিন্টন বা টেনিসের উপকারিতা বেশি। কারণ, এই ধরনের খেলায় গোটা শরীরের নড়াচড়া বেশি হয়। 

তাদের মতে, এই সব খেলা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলা না গেলেও খুব ছুটোছুটিও করতে হয় না, তাই অল্পস্বল্প হাড়ে ব্যথার রোগীরাও এই খেলা খেলতে পারেন। 

ফিটনেস বিশেষজ্ঞ সুকোমল সেন বলেন, ‘ব্যাডমিন্টন সারা বছরই খেলা যায়, তাই সারা দিনে সময় করে মিনিট ১৫ এই খেলা খেললে আলাদা করে আর কোনও শারীরিক কসরতের প্রয়োজন পড়ে না। এই খেলায় হাত, পেট, কোমর ও পায়ের পেশিগুলো বেশি শক্তিশালী হয়। ফিমারেরও জোর বাড়ে। যারা হাড়ের ব্যথায় ভোগেন, স্নায়ুর শক্তি বাড়ালে সে ব্যথা অতটা কাবু করতে পারেন না। তাই অল্পস্বল্প ব্যথা থাকলে এই খেলা খেললে সে ব্যথা কমার সম্ভাবনা বেশি।’ সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা