অনলাইন ডেস্ক : জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগে তার প্রেসক্রিপশনে অনেকেই শীর্ষ নেতা হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন, ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের প্রভাবশালী এমপি আলহাজ্ব এ কে এম শামীম ওসমান। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের জালকুড়িতে অবস্থিত নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কে ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলপূর্বক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই দাবি করেন।

শামীম ওসমান বলেন, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগে অনেকেই আমার প্রেসক্রিপশনে নেতা হয়েছেন। অনেকেই এখন এমপি হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন। অথচ, কারো কারো ওয়ার্ড মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার মত যোগ্যতাও নেই। কিন্তু তাতে আমার দুঃখ নাই। কারণ, আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকতেই পারে কিন্তু কেউ দলের মধ্যে বিভাজনের সৃষ্টি করবেন না।

তিনি আরো বলেন, গত ২৯ মে অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামীলীগের ইফতার মাহফিল নিয়ে দেখলাম তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেল। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হচ্ছেন আব্দুল হাই আর সেক্রেটারি বাদল। তাঁদের সিদ্ধান্তই হচ্ছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। কিন্তু তাঁদের ইফতার মাহফিল আয়োজনের সিদ্ধান্তকে অবজ্ঞা করে একটি মহল তা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছে।

শামীম ওসমান বলেন, ২০০১ সালের ১৬ জুন চাষাড়া আওয়ামী লীগ অফিসে আমার ওপর বোমা হামলাটি ছিল মুনতাকিম মুসতাকিমদের এসিড টেস্ট। আমার মত শেখ হাসিনার একজন নগণ্য কর্মীর ওপর হামলা চালিয়ে এসিড টেস্ট করেছিল তাঁরা। যা কিনা ভারতের আদালতে এরা স্বীকার করেছে।

তিনি আরো বলেন, ‘আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে এবং বিপক্ষে সামনে অনেক খেলা হবে। এই খেলায় অনেকে অংশগ্রহণ করবে। সুশীল, আতেল সমাজ, জামাতপন্থী কিছু মিডিয়াও এই খেলায় মেতে উঠবে।’

ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এম সাইফুল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই।
আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় মহিলা সংস্থা নারায়ণগঞ্জ জেলার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা: জাফর চৌধুরী বিরু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান, সাধারন সম্পাদক হাজী ইয়াসিন মিয়া, কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন মাস্টার, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশীদ, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী এম শওকত আলী, জেলা কৃষকলীগ সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সেক্রেটারী ইব্রাহীম চেঙ্গিস, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জুয়েল আহম্মেদ, মহিলা লীগ জেলা সভাপতি প্রফেসর ড. শিরিন বেগম, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, যুবলীগ নেতা সাব্বির আহম্মেদ জুলহাস, এমপি শামীম ওসমান পুত্র অয়ন ওসমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানী, সেক্রেটারী মিজানুর রহমান সুজন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আজিজুল হক আজি, সেক্রেটারী ইস্রাফিল প্রধান রাফায়েল, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, নাসিক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, শাহ জালাল বাদল, আলাউদ্দিন আলা, আরিফ হাসান, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগ সভাপতি শরীফুল হক, সেক্রেটারী এম এ মান্নান প্রমুখ।

ইফতারের পূর্বে শামীম ওসমান বিভিন্ন টেবিল ঘুরে দলীয় নেতাকর্মীদের ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান। পরবর্তীতে মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।