দর্পণ ডেস্ক : পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী গ্রামে এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত বুধবার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চরমোন্তাজ ইউনিয়নের ৩
নম্বর ওয়ার্ড’র ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম প্যাদার ছেলে জামাল প্যাদার (৩১) বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ওই গৃহবধূর চাচা শ্বশুরকে মারধর করা হয়েছে।
মামলার বিবরনে উল্লেখ করা হয়, বাদী (গৃহবধূ)’র স্বামী সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। অনেক সময় মাছ ধরা শেষে গভীর রাতে বাড়ি ফেরেন। এ সুযোগে আসামি জামাল প্যাদা বিভিন্ন সময় গৃহবধূকে কু-প্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূর ওপর ক্ষিপ্ত হয়। গত সোমবার রাতে ওই গৃহবধূর স্বামীর অনুপস্থিতিতে আসামি ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে। একপর্যায় বিবস্ত্র করে গৃহবধূর মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে ডাক-চিৎকার
দিলে স্থানীয় লোকজন আসামিকে আটকে ফেলে। কিন্তু আসামির বাবা প্রভাবশালী ইউপি সদস্য হওয়ায় তাকে ছেড়ে দিতে হয়।
এদিকে মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ইউপি সদস্যের লোকজন ওই গৃহবধূর চাচা শ্বশুরকে মারধর করেছে। এ মারধরের ঘটনায় ওইদিন দুপুরে রাঙ্গাবালী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন জলিল প্যদা (৩৫), নান্নান প্যাদা (৩৫), আবু ছালে প্যাদা (২৫), জসিম প্যাদা (২৫) ও ফারুক প্যাদা (৪০)। তাদের সকলের বাড়ি চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী গ্রামে।
ভিকটিম গৃহবধূর আহত চাচা শ্বশুর বলেন, ‘ইউপি সদস্যের ছেলে জামাল প্যাদার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করার পরে আতঙ্কে আছি। পরিবারের যারা বাড়িতে আছে, তারা বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। আর যারা বাড়ির বাহিরে, তারা বাড়িতে যেতে পারছে না।’
এ বিষয়ে চরমোন্তাজ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম প্যাদা বলেন, ‘আমার ছেলের বিরুদ্ধে একজনে মামলা করতেই পারে। আমি লঞ্চে আছি, পরে কথা বলব।’
রাঙ্গাবালী থানার ওসি মিলন কৃষ্ণ মিত্র বলেন, ‘ওই গৃহবধূর চাচাকে মারধর করার ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। যার তদন্তের দায়িত্ব চরমোন্তাজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জকে দেওয়া হয়েছে।