ইউএনবি:
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গত ৪৮ ঘণ্টায় রাজধানীর কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ঈদ উদযাপনে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কেননা, ঈদের আগে এই সময়ে এসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকবে। রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম বাজার মালিবাগে দেখা গেছে এমন তিনটি আইটেম—পোলাও চাল, চিনি ও সেমাই।
প্যাকেটজাত পণ্যের দামে কোনো পরিবর্তন না হলেও খোলাবাজারে বিক্রি হওয়া পণ্যের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। গতকাল মঙ্গলবার (২৭ জুন) পোলাও চাল বিক্রি হয় ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি এবং প্যাকেটজাত সুগন্ধি চাল (চিনিগুঁড়া) বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজি।
একইভাবে মঙ্গলবার প্রতিকেজি খোলা সেমাই বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। অথচ মাত্র দুদিন আগেও একই সেমাই বিক্রি হচ্ছিল প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। মঙ্গলবার লাচ্ছা সেমাই প্রতিকেজি ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও দুদিন আগে তা ছিল মাত্র ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। প্যাকেটজাত ২০০ গ্রামের প্যাকেট লাচ্ছা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, যা কেজি হিসাবের তুলনায় অনেক বেশি দাম।
মালিবাগ কাঁচাবাজারে মঙ্গলবার চিনির দামও ঊর্ধ্বমুখী দেখা গেছে। এই বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়।
অনেক ভোক্তা কেনাকাটা শেষ করতে এদিন বিকেলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেও বাজারে এসেছিলেন। হঠাৎ করে প্রয়োজনীয় জিনিসের দামবৃদ্ধি পাওয়ায় তারা হতাশা প্রকাশ করেন।
আব্দুল আলিম নামে একজন ভোক্তা বলেন, ‘আমি বিস্মিত হয়েছি, বেশির ভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে।’
মালিবাগ বাজারে হাজী ফারুক জেনারেল স্টোর পরিচালনাকারী ফারুক হাসান বলেন, ‘সবকিছুর দাম বেশি, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’