অনলাইন ডেস্ক : বিশ্বকাপ ফুটবলে রাশিয়ান নারীদের আচরণে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন মস্কোর একটি পত্রিকার কলামনিস্ট প্লাটন বেসেদিন। তার অভিযোগ, বিশ্বকাপ আসরকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার নারীরা নিজেদেরকে পর্নো তারকা হিসেবে পরিচিত করছেন।
সম্প্রতি রাশিয়ান যুবতী নাতালিয়া নেমছিনোভার ছবি ধরা পড়ে গ্যালারিতে। তা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক প্রচার পায়। পরে জানা যায়, তিনি সাবেক একজন পর্নো তারকা। কিন্তু এ অভিযোগ অস্বীকার করেন নাতালিয়া।
শুধু যে নাতালিয়া তা নয়। রাশিয়ার সুন্দরীরা বিদেশী খদ্দের ধরতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আশ্রয় নিচ্ছেন।
সামাজিক ওয়েবসাইটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, রাশিয়ান ‘হোর’ নারীরা বিশ্বকাপের বিদেশী ভক্তদের সঙ্গে শয্যাসঙ্গিনী হচ্ছেন। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, একজন নারী মদ্যপ। তিনি মস্কোর একটি বেঞ্চের ওপর। সেখানে পোল্যান্ডের একজন ফুটবল ভক্তের কাছ থেকে তিনি ‘ওরাল সেক্স’ উপভোগ করছেন। আর পাশে দাঁড়িয়ে ওই পোল্যান্ডের যুবকের বন্ধুরা তা প্রত্যক্ষ করছে। আরেকটি সেলফি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তাতে একজন রাশিয়ান যুবতীকে দেখা যাচ্ছে আপত্তিকর অবস্থায়। তিনি মুখের ভিতর কনডম ধরে সেলফি তুলেছেন। তারপর সেই সেলফি প্রকাশ করা হয়েছে।
এসব দেখে ক্ষেপে গিয়েছেন কলামনিস্ট প্লাটন বেসেদিন। তিনি একাধারে একজন লেখক ও মনোবিজ্ঞানী। মস্কো থেকে প্রকাশিত মস্কোভস্কি কোমসোমোলটসে তিনি ওই কলাম লিখেছেন। তাতে তিনি রাশিয়ান যুবতীদের বিরুদ্ধে ধারালো আক্রমণ শাণিয়েছেন। রাশিয়ান নারীরা ‘বেশ্যার’ (হোরস) মতো আচরণ করছেন বলে তার অভিযোগ।
এদিকে ওই কলাম প্রকাশিত হওয়ার পর নারীরাও তার ওপর ক্ষেপেছেন। প্লাটন বেসেদিনকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। বিখ্যাত কসমোপলিটন ম্যাগাজিনের লেখিকা গ্রিবাতস্কায়া একটি পিটিশন পোস্ট করেছেন প্রতিবাদ জানিয়ে। তাতে বলা হয়েছে, কলামিস্ট প্লাটন বেসেদিন তার লেখার মাধ্যমে রাশিয়ার নারীদের অবমাননা করেছেন। এ জন্য তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। এ পিটিশনে ৬৫০০ এর বেশি নারী সমর্থন দিয়েছেন।
ক্ষমা চাইতে বলার পর কলামিস্ট প্লাটন বেসেদিন বলেছেন, আমরা চাই না রাশিয়া একটি ‘ভলগার হোর’ হিসেবে ভাবমূর্তি তুলে ধরুক বিদেশীদের কাছে। বিশ্বকাপে আমরা এরই মধ্যে প্রচুর হারিয়েছি আমাদের সেই ভাবমূর্তি।’