কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অজি উল্লাহ নামে (৩০) এক রোহিঙ্গা  নিহত হয়েছেন। তিনি ডাকাত দলের সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ সসময় সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাকসহ তিন ডাকাতকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, নিহত অজি উল্লাহ টেকনাফের নিবন্ধিদ নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি ক্যাম্পের ত্রাস কুখ্যাত ডাকাত জকির আহমদের সহযোগী। এ ঘটনায় ওসি তদন্তসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।  

শুক্রবার বিকাল ৩ টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া মাটি ছিড়া পাহাড়ে এই ঘটনা ঘটে। আটকরা হলেন- টেকনাফের হ্নীলা নয়াপাড়া ক্যাম্পের মৃত আবু তাহেরের ছেলে খুরশেদ আলম (৩৯), জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আবদুর রকিমের ছেলে মো. আমিন (২৫) ও টেকনাফ সদরের রাজারছড়া এলাকার নজির আহমদের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২০)।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, শুক্রবার বিকালে টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএমএস দোহার নেতৃত্বে একদল পুলিশ টেকনাফের হাবিরছড়া মাটিছিড়া পাহাড়ে রোহিঙ্গা শীর্ষ ডাকাত জকিরের অবস্থানের গোপন খবরে সেখানে অভিযানে যায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এই গোলাগুলিতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, ৩টি দেশিয় তৈরি এলজি, ১০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২৩ রাউন্ড খালী খোসা ও ২ হাজার ২শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় বিভিন্ন বাহিনীর পোশাকসহ গুলিবিদ্ধ আহতসহ ৪ ডাকাতকে আটক করা হয়।

তিনি বলেন, পরে গুলিবিদ্ধ ডাকাতকে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে পৌঁছালে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, নিহত অজি উল্লাহ ডাকাত জকির গ্রুপের সক্রিয় সদস্য এবং মাদক কারবারে জড়িত ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে তারা বিভিন্ন বাহিনীর পোশাক পরে অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে চাচ্ছিল। অপরাধ নির্মূলে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।