ভারতের প্রধানবিচারপতি রঞ্জন গগৈ অযোধ্যা মামলার রায়ে বলেছেন, বাবরি মসজিদের জমি তিন ভাগে ভাগ করে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। ব্রিটিশরা আসার আগেও অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে যে হিন্দুরা পুজো করত, তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। রায়ে বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, অযোধ্যায় শর্ত সাপেক্ষে মূল বিতর্কিত জমি পাবে হিন্দুরা আর মসজিদ নির্মাণে ৫ একর আলাদা জমি দেবে ভারত সরকার। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আরো জানিয়েছে, ‘হিন্দুরা বিশ্বাস করেন অযোধ্যায় রাম জন্মভূমি রয়েছে। আবার মুসলিমরাও এখানে নামাজ পড়েন। জমির অধিকার কার, তা শুধুমাত্র আইন ঠিক করবে।’ বিতর্কিত ভিতরের এবং বাইরের জমি তুলে দেয়া হবে ট্রাস্টের হাতে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে বোর্ড অব ট্রাস্ট গঠনের জন্যে তিন মাস সময় দেয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে মান্যতা দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। খালি জমিতে মসজিদ তৈরি হয়নি। মসজিদের নীচে কাঠামো পাওয়া গিয়েছে। তা ইসলামিক স্থাপত্য নয়। নির্মোহী আখড়ার দাবি খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট আরো বলেছে খনন কাজের প্রমাণ অস্বীকার করা যায় না।
অযোধ্যা মামলার রায় দানকারী হিসেবে বিচারপতি গগৈ ছাড়াও বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি এসএ বোবদে, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ এবং এস আব্দুল নাজির। শনিবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে আদালতে বিচারপতিরা প্রবেশ করেন। এর পর রায়ের কপিতে সই করে রায় পড়তে শুরু করেন প্রধান বিচারপতি।