হাঁটি হাঁটি পা পা করে শিশু বড় হয়। এই বড় হওয়ার মধ্যে শিশুর মনোজগতে আসে নানা পরিবর্তন। কখনও সে হয়ে যায় চুপচাপ। আবার কখনও কখনও হয়ে যায় একরোখা বা জেদি। শিশুদের অনেক আচরণের মাঝে ‘জেদ ধরা’ একটি কমন সমস্যা। ছোটবেলায় সবার মনোযোগ পাওয়ার জন্য অনেক সময় শুরু হয় এই ‘জেদ ধরা’ ব্যাপারটি। অনেক বাবা-মা শিশুদের এই জেদ কন্ট্রোলের মধ্যে নিয়ে আসতে পারেন। অনেকেই আবার বুঝতে পারেন না আসলে কী করা উচিত।
শিশুর জিদ এবং এর পাশাপাশি রাগ করে বিভিন্ন জিনিস উল্টাপাল্টা করা আজকাল এক ধরনের সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে শিশুদের মধ্যে। অল্প বয়স থেকেই এটিকে দমন না করতে পারলে ভবিষ্যতে আরও খারাপ সমস্যায় পড়তে পারেন অভিভাবকরা। চলুন দেখে নেই ‘জেদ ধরা’ এবং এটি কমাতে মনোবিজ্ঞানীরা কী পরামর্শ দেন।
জেদের তিনটি প্রধান কারণ শিশু যখন কোনো কিছু চেয়েই পেয়ে যায় তখন তার নতুন জিনিসের বায়না শুরু হয়। সেই বায়নার কারণে তার জিদ করার প্রবণতা শুরু হয়।
বাবা-মাকে পর্যাপ্ত সময় ধরে কাছে না পেলে শিশুরা অনেক সময় জেদ দেখাতে পারে।
এর সঙ্গে আছে পরিবেশ বা আশপাশের অনেকের আচরণ দেখেও শিশুরা জেদ করাটা শেখে। শিশুর জিদ কমাতে অভিভাবকরা যা করতে পারেন- আপনাকে আপনার শিশুর সঙ্গে আচরণের ধরন পরিবর্তন করতে হবে। মনে রাখবেন আপনি তার আচরণ নিয়ে চিন্তিত হচ্ছেন এবং অবশ্যই এটা নিয়ে আলোচনা করতে হবে তার সঙ্গে। এক সঙ্গে কাজ করতে পারেন তার এই আচরণ পরিবর্তনের জন্য। সন্তানের যেটা প্রয়োজন সেটা তাকে দিন আর যা চাওয়া তার জন্য অপেক্ষা করতে শেখান। এতে তার জেদ কমবে।
সন্তানকে সময় দিতে হবে। পর্যাপ্ত সময় দিন আপনার সন্তানকে। তার সঙ্গে গল্পের বই পড়তে পারেন, ছবি আঁকা বা বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। আর ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।
শিশুকে উৎসাহিত করতে হবে। শিশুরা তাদের আশপাশের সবাইকে দেখে উৎসাহিত হয়। তাদের কথা, আচরণ আর সবকিছুই শিশুরা অনুসরণ করে। নিজেদের কাজ আর বিভিন্ন ভালো ঘটনাগুলো সন্তানের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে পারেন। এতে সন্তানের জেদ কমবে। মনে রাখতে হবে, আপনার সন্তান তার আচরণগত বৈশিষ্ট্য শিখবে পরিবার থেকে। পরিবারের প্রতিটি ব্যক্তি বিশেষ করে বাবা-মা যদি তাদের আচরণগত পরিমিতিবোধ টিক রাখেন তবে তাদের সন্তানরা তেমনি হবে। যেহেতু পরিবার শিশুর প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তাই সেখানেই হবে শেখার শুরু।